নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার (জেকেজি) গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফকে দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে আদালতে আনা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
ফরিদ উদ্দিন জানান, দুদফা রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ ডা. সাবরীনাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাঁকে বর্তমানে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা নতুন কোনো রিমান্ডের আবেদন করেননি। তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে শুনানি হবে বলে জানান ফরিদ উদ্দিন।
এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৪ জুলাই ডা. সাবরীনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ডা. সাবরীনার স্বামী জিকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আবার গত বুধবার ডা. সাবরীনার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপরে গতকাল তাঁকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১২ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ডা. সাবরীনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে জেকেজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করোনা রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। আমরা অভিযানে নেমে ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করি।