নভেল ১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যাপক জনসচেতনতা-কঠোরতার পর এবার শিষ্টাচার আচরনের কারনেই অনেকটা দায়সারা দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছিল পুলিশকে!
গাইবন্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কালীবাড়ী মোড়ের মত অসংখ্য জায়গাতেই এভাবে অবাদে সাধারনের চলাফেরার চিত্র দেখা গেছে।
নভেলা ভাইরাস করোনা সংক্রোমন মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশকে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এই সংক্রমনে মৃত ব্যাক্তির সৎকার করে শুধু দেশ নয় বিশ্ব ব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। শুরু থেকেই জনসচেতনতা তৈরী করতে পুলিশকে তার উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করতে দেখা গেছে। ফলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি এগুতে পারেনি।কিন্তু বাঙ্গালী বলে কথা! কোন ভাবেই তারা এই সচেতনতা মানতে নারাজ।
পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো সেই জনসমাগম। দোকান পাট খোলা রাখা সবই চলছিল ঠিকঠাক।এরপর জনসমাগম ও সামাজিক দুরত্ব এড়াতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে দেখা যায় পুলিশকে।তারপর ও একই অবস্থা কিছুতেই এড়ানো যায় নি এই জনসমাগম।
এমতবস্থায় দেশ ব্যাপি যখন এই সংক্রমনে আক্রান্ত হাজারো মানুষ ঠিক তখনই অনেকটা হাল ছেরে দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে পুলিশকে।কারন অনুসন্ধানে দেখা যায় জনসচেতনতা,কঠোরতা প্রয়োগ করে ও যখন কাজ হয় নি।মানুষ নিজের ভালো নিজে না বুঝে উল্টো পুলিশকেই দোষারোপ করে, ঠিক তখনই শিষ্টাচার আচরন দেখিয়ে পুলিশ নিজের নিরাপত্তার লক্ষে নিজেদের অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন জনসচেতনতা ,কঠোরতা প্রয়োগ করে কোন ফল হয় নি। পাবলিক যদি নিজের ভালো না বোঝে তখন পুলিশের কি করনীয় থাকতে পারে!!যারা কথা শুনবে না, মানবে না তারাই আক্রান্ত বেশি হবে।
আমাদের ও জীবন আছে পরিবার আছে! তারপর ও সরকারের নির্দেশনা পালনে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে ও করবো।