গোলাম সোহ্রাব দোদুল এর পরিচালনায়, লিটু সাখাওয়াত এর রচনায়, ঈদুল আজহার ধারাবাহিক নাটক ‘বন ভোজন’ দীপ্ত টিভিতে ঈদের সাতদিন রাত ৮টা ১০মিনিটে।
অভিনয়: জাহিদ হাসান, তারিন জাহান, পায়েলিয়া পায়েল, আরফান, আইরিন তানি, শাহেদ আলী সুজন এবং অন্যান্য।
সিরাজ উদ্দিন খান। অবসর প্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা। বয়স সত্তুর। স্ত্রী গত হয়েছেন প্রায় দশ বছর আগে। একমাত্র সন্তান সাজ্জাদ, বিবাহিত ব্যবসা করে। পুত্রবধু নীলা গৃহিনী। সিরাজ উদ্দিন খানের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো তিনি বড্ড কৃপণ। কিন্তু তার একমাত্র ছেলে সাজ্জাদ বাবার ঠিক উল্টো বৈশিষ্ট্যের। হাতখোলা স্বভাব। যার কারণে বাপ-ছেলেতে খুব একটা বনিবনা নেই।
সাজ্জাদের ব্যবসা এখন উন্নতির দিকে। ব্যবসাটাকে আরো ভালভাবে দাঁড় করাতে এই মূহুর্তে তার বেশ কিছু টাকা দরকার। কিন্তু কৃপণ বাবার কাছ থেকে কিছুতেই টাকা আদায় করতে পারছে না। বাবার ফান্ডে বেশ মোটা অংকের পেনশনের টাকা আছে। একমাত্র উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও সিরাজ সাহেব ছেলেকে টাকা দিতে নারাজ।
কেননা, তিনি মনে করেন হাতখোলা স্বভাবের কারণে সাজ্জাদ তার সারাজীবনের কষ্টের টাকা পানিতে ভাসিয়ে দেবে। সাজ্জাদ তার স্ত্রীর সাথে পরামর্শ ক’রে বাবার দূর্বল জায়গা খুঁজে বের করে। সিরাজুল সাহেব স্ত্রীকে খুব ভালবাসতেন। কেননা, স্ত্রীই তার কৃপণতাকে কখনও কৃপণতা হিসেবে দেখেনি। বরং সিরাজের এই স্বভাবকে স্ত্রী জয়তুন বেশ পছন্দ করতো। স্ত্রী সিরাজের এই স্বভাবকে সমর্থন করেছে বলেই ঢাকা শহরে আজ তার নিজস্ব ফ্লাট।
সাজ্জাদ জানে একমাত্র তার মার পেছনেই খরচ করতে বাবা খুব একটা দ্বিধা করতো না। খরচ মানে হয়তো কোন এক বিকেলে বাইরে নিয়ে গিয়ে হাফপ্লেট ফুচকা খাইয়ে দিতো বা বছরে একদিন সিনেমা দেখাতে নিয়ে যেতো। আর একবার কী দুবার স্ত্রীকে নিয়ে সিরাজ সাহেবের একটি পছন্দের জায়গায় পিকনিক করতে নিয়ে গিয়েছিলো। সেই গল্প সিরাজ সাহেব সুযোগ পেলেই সাজ্জাদদের শোনাতো।
সাজ্জাদ জানে বাবা নিজ খরচে সেখানে তাদেরকে নিয়ে কোন দিনও যাবে না কিন্তু বিনা খরচে যদি সেখানে যাওয়ার অফার দেয়া হয় তাহলে সিরাজ সাহেব লুফে নিতে বেশী দেরি করবেন না। আর সেখানে গেলে হয়তো তার মাকে মনে পড়বে। তখন মনটা হবে নরম। সেই সময় কৌশলে চেকে সিগনেচার করিয়ে নিতে হবে। কোন এক কোম্পানী সাজ্জাদকে স্পন্সর করেছে, এই কথা বলে সিরাজকে রাজি করিয়ে সেই পিকনিকের স্থানে যাওয়ার জন্য সিরাজকে রাজি করিয়ে ফেলে সাজ্জাদ।