রাজশাহীর তানোরে সিলেট থেকে এক নারী জ্বর সর্দি নিয়ে আগমন ঘটে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই নারী পৌর এলাকার প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এমরান আলী মোল্লার বাস ভবনের সামনে তানোর টু তালন্দ রাস্তার এক পাশে শুয়ে ছিল।
সন্ধ্যার আগে গুবিরপাড়া গ্রামের লোকজন জানতে পেরে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। কিন্তু থানা পুলিশ আসতে দেরি করায় ওই নারী ভ্যানে উঠে তালন্দের দিকে চলে যায়। ওই নারী যাবার পর পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। এসে না পেয়ে পুলিশের গাড়িও ছুটে তালন্দের মুখে। থানা থেকে যেখানে ওই নারী শুয়ে ছিল সেখানে আসতে দুই থেকে তিন মিনিটের সময়। শুধু তাই না ওই নারী যেখানে শুয়ে ছিল সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি আসামাত্রই গ্রামবাসী থামিয়ে ঘটনা জানালে কোন কিছু না বলে তিনিও গাড়ি নিয়ে চলে যান।
গ্রামবাসীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই নারী প্রয়াত চেয়ারম্যান এমরান আলী মোল্লার বাড়ির সামনে তানোর টু তালন্দ রাস্তার পশ্চিম দিকে শুয়ে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার বাড়ি কোথাই । তিনি শুয়ে থেকে উঠে বসে জানান আমি সিলেট থেকে এসেছি। জ্বর সর্দি এবং শরীর খারাপ লাগছে এজন্য শুয়ে আছি। হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা বলা হলে কোন ভাবেই রাজি হয়নি ।
কোথাই যাবেন বললে জানান চালতাগ্রামে আমার ভায়ের বাড়িতে যাব। তাঁর এমন কাল্পনিক কথাবার্তায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে সাতটা ১৫ মিনিটের দিকে ওসিকে ফোন দিয়ে অবহিত করা হলে দেখছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই সময়ে ৯৯৯ এ কল করেও কাজ হয়নি। ইউএনওর মোবাইলে ফোন দিলে শুধু ব্যস্ত আর ব্যস্ত। জেলা প্রশাসকের নম্বরও ব্যস্ত পাওয়া যায়।
মেডিকেলের ইমারজেন্সি মোবাইলে ফোন দেয়া হলে সেখান থেকে এক মহিলা জানান রোগীকে আমাদের নিয়ে আসার দায়িত্ব না । থানা পুলিশ নিয়ে আসবে আমরা চিকিৎসা দিব বলে এড়িয়ে যান। পুনরায় ওসি এই প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে ওই নারীর কাছে থাকতে বললে ওই নারী দ্রুত ভ্যানে উঠে চলে যায়। চলে যাবার অনেকক্ষণ পর সাদা মাইক্রোতে করে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ততক্ষণে ওই নারী অনেকদুর চলে গেছে। পুলিশের গাড়িও যেতে দেখা যায় তলন্দের মুখে। তবে এপ্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ওই নারীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গ্রামবাসী জানান উপজেলা থানার পার্শে ঘটছে এমন ঘটনা , থানা থেকে খুব বেশি হলে দু মিনিট সময় লাগবে। আবার ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি থামিয়ে বলা হলে কোন গুরুত্ব না দিয়ে চলে যান। শুধুমাত্র প্রশাসনের অবহেলায় ওই নারী অন্য এলাকায় যেতে পারল। যতক্ষন আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম তারপরেও প্রশাসন আসেনি। ওই নারী এখন কোনগ্রামে যাবে কে জানে। এভাবেই তো ছড়িয়ে পড়ছে রোগ।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুলের সরকারী মোবাইলে ৯টা ২৯ মিনিটে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেন নি তিনি। যার ফলে ওই নারী সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।