রাজশাহীর তানোরে নিখোঁজ অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আবুল কাশেমকে (৭০) খুঁজতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ির মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধারের চেষ্টায় নেমেছে পুলিশ। এর আগে আবুল কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে (৩২) ঢাকা সাভার থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থল পৌর এলাকার তালন্দ সোমাসপুর গ্রামে ফাতেমার বাড়ির দুই ঘরের মেঝে খুড়ে কোন আলামত পাইনি। বাড়ির মেঝেতে আবুল কাশেমকে পুতে রাখা হয়েছে এমন সন্দেহ সিআইডিসহ পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ির মেঝে খুড়েন। দুই বছর যাবত ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। বাড়ি তালা বদ্ধ অবস্থায় ছিলো।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে আবুল কাশেমের বড় বউয়ের ছেলে কমল বাদি হয়ে তার পিতাকে গুম করা হয়েছে মর্মে ফাতেমাকে আসামি করে রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেন । সেই মামালা তানোর থানায় ২০১৯ সালে ১৫ নভেম্বর রেকড করা হয়। মামলাটি থানা পুলিশ রাজশাহী সিআইডিতে পাঠিয়ে দেয়। রাজশাহী সিআইডির (এসআই) আল-মামুন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন।
জানা গেছে, আবুল কাশেম গোদাগাড়ীর উজানপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০০৩ সালে চাকুরি থেকে অবসরে যান। ২০০৫ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তানোর পৌর এলাকার তালন্দ সমাসপুর গ্রামের ফাতেমাকে। তাদের আট বছরের একটি সন্তান রয়েছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে নিখোঁজ হন আবুল কাশেম।
আর আবুল কাশেম নিখোঁজ হওয়ার পরে দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা ঢাকায় চলে যান। ফাতেমা সেখানে গার্মেন্সে কাজে লাগে। গত শুক্রবার সিআইডি তাকে ঢাকা থেকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ি তানোরের তালন্দ সমাসপুর এলাকার ফাতেমার বাড়িতে অভিযান চালান। কিš‘ সিআইডিকে ভুল তথ্য দেন ফাতেমা।
মামলার বাদি কমল বলেন, আমার সন্দেহ ছোট মা ফাতেমা বেগম আমার পিতা আবুল কাশেমকে হত্যা করে গুম করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী সিআইডির (এসআই) আল-মামুন বলেন, ফাতেমার কথার ভিত্তিতে আমরা তার পরিত্যক্ত বাড়ির দুটি ঘরের মেঝে খুড়ি। কিন্তু কোন আলামত পাইনি। ফাতেমা প্রচন্ড মিথ্যা কথা বলেন। তার কোন তথ্যের সাতে কাজের মিল পাচ্ছিনা। তবে এর শেষ দেখে ছাড়বো।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, সিআইডিতে মামলাটি তদন্ত চলছে। নিখোজ কাশেমের ছোট স্ত্রী ফাতেমাকে আটক করেছে। আটক ফাতেমা নিজেও বাদি হয়ে তার স্বামীর নিখোজ হবার বিষয়ে ৬জনকে আসামী করে কোটে মামলা করেন। সেই মামলা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে থানায় রেকড করা হয়। মামলাটি থানার (তদন্ত) ওসি আনোয়ার তদন্ত করছেন।