গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোখলেছুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ইউনিয়নের ইউপি সদস্য যুদ্ধাপরাধী, হত্যাসহ একাধিক মামলার অন্যতম আসামি মমতাজ আলী ও তার দোষররা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।
ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান রাজু দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন।
তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ঈদগাহ মাঠ, পাবলিক টয়লেট, মন্দির-মসজিদ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন করে এলাকার উন্নয়নে নজির স্থাপন করেন। তিনি বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, দু:স্থ মাতা, রেশন কার্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা অর্থনৈতিক লেনদেন ছাড়াই জনগণের মাঝে বিতরণ করে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি যে কোন ভাতা প্রদানে অর্থ নেন না এবং অন্যান্যদের বিরত থাকার জন্য মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সহকর্মী ইউপি সদস্যরা তার কাজে সহযোগিতা করতে পেরে তারা গর্বিত।
ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ, আনিছার রহমান, সবুজ চৌধুরী, আব্দুল জলিল, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মোন্নাফ, আলতাফ মিয়া, ইদ্রিস আলী, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মাহফুজা বেগম জানান, যে তিনজন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন তা একেবারেই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা চেয়ারম্যানকে হয়রানি করার জন্য গত নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত প্রার্থীদের ইন্ধনে সুবিধা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত মাসিক সভার অনুষ্ঠান, ভূমি উন্নয়ন করের দৃশ্যমান প্রকল্প বাস্তবায়ন, এলজিএসপির প্রকল্পের অর্থ যথারীতি সভা ও নিয়মকানুন মেনে প্রকল্প দাখিল ও বাস্তবায়ন, শিশু ভাতা এনজিওর মাধ্যমে প্রদান, এডিপি প্রকল্পের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্প দাখিল, করোনাকালিন সময়ে সারের ভর্তুকি কৃষি কর্মকর্তার দ্বারা প্রস্তুত করে যথারীতি বিলি করণ, ইউপি ট্যাক্সের টাকা যথাযথ হিসেবে জমা রাখা ও তার দ্বারা দু’মাসের সদস্যদের মাসিক সম্মানী ভাতা প্রদান, ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার ও সংশ্লিষ্ট সচিব জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রস্তুত করেন এবং চালানের মাধ্যমে এ বাবদ আয় যথারীতি ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এরপর ও ঐ সদস্যগণ ১৮ মাস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছে বলেও জানান।
ধোপাডাঙ্গা চেয়ারম্যানের কার্যক্রম সম্পর্কে এক সাক্ষাৎতকারে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক জানান, চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোকলেছুর রহমান রাজু উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে দলীয়ভাবে ও তার নিজস্ব ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আগামী নির্বাচনে জনগন উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়ে সত্য মিথ্যার প্রমাণ দিবে।