করোনা ভাইরাসের কারনে সব ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়েছে। করোনাকে প্রতিরোধে সামাজক দুরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে হতে হয়েছে ঘরবন্ধি। এসময় মানুষ হয়েছে কর্মহীন। কর্মহীন মানুষের পাশে সরকারসহ বিভিন্ন ব্যক্তি সংগঠন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু দোকান,হোটেলসহ বিভিন্ন প্রাতষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংকটে পড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো। তারা বিভিন্ন এলাকায় দলবেধে খাবার খুজে বেড়ায়। তাদের খাদ্য সহযোগিতায় ২/১জন এগিয়েও এসেছে।
এমনি এক যুবক দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সদরের এক তরুন ব্যবসায়ী যুবক সোহেল আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ওই সব কুকুরের পাশেও দাড়িয়েছেন। তাদের জন্য খাদ্য নিয়ে রাস্তায় এলে কুকুরগুলোও নির্ভরতার প্রতিক মনে করে তার চারপাশে এসে দাড়ায়। কয়েকদিন আগে একটি কুকুর অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। এসময় কুকুরটিকে উদ্ধার করে নিজেই চিকিৎসা করে সুস্থ করে এই যুবক সোহেল আহমেদ।
বীরগঞ্জ পৌর এলাকার বিজয় চত্বর, ডাক্তার খানার মাঠ, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের অলিগলিতে কুকুরগুলোকে ডেকে নিয়ে খাবার দিচ্ছেন ওই যুবক সোহেল আহমেদ। এসব কুকুর মূলত হোটেলের ফেলে দেওয়া খাবার খেয়েই জীবন ধারণ করতো। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত প্রায় এক মাস ধরে হোটেল বন্ধ। ফলে এক রকম খাদ্য সংকটে পথের কুকুরগুলো। নিজেকে দায়বদ্ধ ভেবে মানুষের পাশাপাশি পরিবেশের রক্ষায় প্রাণীকুলকে রক্ষায় কয়েক সপ্তাহ যাবত প্রতিনিয়ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেওয়ারিশ এসব কুকুরগুলোর নিজ হাতে পাউরুটি, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়াচ্ছেন সোহেল আহমেদ।
সোহেল আহমেদ বলেন, বেওয়ারিশ হলেও এরা ফেলে দেয়া খাবার খেয়ে আমাদের পরিবেশ পরিস্কার রাখতে অনেকটা সাহায্য করে। কিন্তু পরিস্থিতি তাদেরকেও অনাহারে রেখেছে। খাবার না পেলে তারা মরে যাবে। ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষের ওপর হামলা করতে পারে। সে কারনেই প্রতিনিয়ত ওদের খাবার দেওয়ার চেষ্ঠা করছি। তিনি আরও বলেন, দেশের এই সংকটময় মূহুর্তে প্রানীকুলের সাহায্য-সহযোগিতা করার এটাই উপযুক্ত সময়। বৃত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় শুরু থেকেই সচেতনতা মূলক প্রচারনা, মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড-গ্লপস ও সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণসহ ছিন্নমুল ভবঘুরে মানুষদের খাদ্য দান এবং ভ্যান রিক্সা চালক, দিনমজুরদের নিজের সাধ্যমতো সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছেন সোহেল আহমেদ।