পাবনা সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের মানবসেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে বেধরক পিটালো ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিবের পোষা দৃর্বৃক্তরা। সকাল ১১টায় কামালপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করছে চেয়ারম্যানের পোষা দূর্বৃত্তরা।
এদিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী উৎকোচের বিনিময়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে। বিষয়টি কামালপুল ফাঁড়ির আইসি রেজাউলকে অবহিত করলে তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।
এ সময় বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা খাল খন্দ সড়ক মেরামতকারি উদ্যোক্তা মানবসেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হোসেন পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিতে গেলে পথে চেয়ারম্যানের ছেলে সাইফুল বিশ্বাসে নির্দেশে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই তোয়াজ আলী বিশ্বাস, নায়েব আলী বিশ্বাস, হালিম বিশ্বাসসহ ৮/১০জন মিলে তাকে লাটিসুটা নিয়ে এলোপাতারী মারপিট করে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে আহত ফারুক’কে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারধীন রয়েছে।
আহত ফারুক হোসেন জানান, কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে দোকার নির্মাণ করার ব্যপারে ৯৯৯ অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের। তিনি আরো জানান, বর্তমান চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে করোনাকালীন সময় সাধারণ মানুষরে ভিজিএফএর চাল চুরির অভিযোগও রয়েছে এবং সরকারী জায়গা দখল করারও অভিযোগ রয়েছে, এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কথা বললে চেয়ারম্যানের পোষা সন্ত্রাসী দিয়ে মারপিট ও প্রণহানীর হুমকি দেয়।
এ ছাড়াও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যানের দূর্নীতির কারণে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলে উপজেলা প্রশাসন থেকে তদন্দ কমিটি গঠন করা হয়। এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তার ছেলে সাইফুল ইসলামের খাদ্য বান্ধন কর্মসূচির ডিলারশীপ বাতিল হয়ে যায়। এ ঘটনায় আগে থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া চেয়ারম্যানের ছেলে সাইফুল বাবার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকা বিভিন্ন ঘটনার সালিশ দরবার করে টাকার বিনিময়ে প্রহসনমূলক সমাধান দেন। এ সব ঘটনার মুখ খুলতে গেলেই তাদের উপর চলে বর্বর হামলা। ফারুক ভালো ছেলে এজন্য চেয়ারম্যানের ছেলে এ সব ঘটনার প্রতিশোধ নিতে এ ধরনের হামলা চালিয়েছে বলে জানান তারা।
এ ঘটনায় সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করার কাজ চলছে বলে জানান ফারুক হোসেন। তবে হাটখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মারপিটের ঘটনায় মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদরুদ্দোজা জানান, আমি কামালপুর আইসিকে বলে দিচ্ছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।