প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত দু বেলা প্রাইভেট পড়াচ্ছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউপির কচুয়া মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পৌর সদর গোল্লাপাড়া বাজারের সারোয়ারের মার্কেটের পশ্চিমে ও পুকুর সংলগ্ন টিন সেটের ঘরের সকালে এবং বিকেলে একে সরকার সরকারী কলেজের দক্ষিনে টিকটিকি ডাঙ্গা নামক
পাড়াই নিয়োমি ভাবে পড়িয়ে যাচ্ছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। তিনি সদরের বে সরকারী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পক্ষ ছিলেন। কিন্তু নানা অনিয়ম আর প্রাইভেটের কারনে সেখান থেকে বাদ দেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, করোনার লকডাউনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে দাপটের সাথে সরকারী ভাবে নিষেধ থাকলেও প্রাইভেট পড়িয়েই যাচ্ছেন প্রভাষক মিজান।তিনি বজলার নামের এক শিক্ষকের মেয়েকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। শিক্ষক বজলার গোল্লাপাড়ায় বসবাস করেন এবং তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সবাই প্রাইভেট শিক্ষক মিজানকে দায়ী করেন।
শুধু তাই না গ্রামবাসী তাকেও দশ দিন ঘরে থাকতে বাধ্য করেন। প্রভাষক মিজানের প্রকৃত বাসা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার কিডাশন গ্রামে। সে জিল্লুর রহমানের পুত্র।
বেশ কিছু শিক্ষকরা জানান যেখানে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছেনা। করোনা যদি কমল মতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হবে।সেখানে প্রভাষক মিজান কিভাবে প্রাইভেট পড়ান। তাকে আইনের আওতায় এনে চরম সাজা দেয়া দরকার। তিনি প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে প্রভাষক মিজান শতাধিক শিক্ষার্থীকে পড়ানোর কথা অস্বীকার করে জানান আমি যে কলেজে কর্মরত সেটা নন এমপিও ভুক্ত। কিছু অভিভাবকের নির্দেশে ৩৫/৪০জন মত শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ায়।আর না পড়ালে কোনভাবেই সংসার চালানো কষ্টকর । এক প্রকার বাধ্য হয়ে এবং আমি যেখানে গোল্লাপাড়ায় থাকি সেখান কার অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়েদের পড়ানোর জন্য বলেন।
বেশ কিছু দিন আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে সেটা ছিল মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য এব স্থানীয় গণ মাধ্যম করীমদেরও মেসেজ দিয়ে অবহিত করেছিলেন।
এব্যাপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন করোনার এই সময় কোন ভাবেই প্রাইভেট পড়ানো যাবে না। তবে এব্যাপারে কোন অভিযোগও পড়েনি। তারপরও পড়ানোর ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।