কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমোর নদের ২০টিরও অধিক পয়েন্টে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, অবিরাম বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের বন্যা
পরিস্থিতিও অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকার নীচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে পানি বন্দি মানুষজন। পানির নীচে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দি এলাকার আমন ও অন্যান্য ফসলের ক্ষেত। গত ২৪ ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে জেলার মৎস্য চাষীদের অধিকাংশেরই প্রকল্পগুলো ভেসে গেছে।
মৎস্য খামারীরা জানান, লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে তাদের মৎস্য পকল্প অনেকেই রক্ষা করতে পারেননি। লোকসান গুনতে হবে অনেককেই। জেলার উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর রাজরহাট ও চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর দিন পাড় করছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষজন।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মইনুদ্দিন ভোলা জানান, নদীর তীব্র স্রোত যাত্রাপুরের গারুহারা গ্রামে গত দুইদিন ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকানোর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অনুরূপ অবস্থা বিরাজ করছে উলিপুর উপজেলার তিস্তা অববাহিকার দলদলিয়া থেতরাই গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নে !
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের ২০টিরও অধিক পয়েন্টে নতুন করে ভাঙ্গন শুরুর কথাও তিনি স্বীকার করেছেন ! সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।