সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে টানা ৪ দিনের ভারী বর্ষণে প¬াবিত হওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক সহ খামারিরা। একদিনে বন্যার থৈ থৈ পানি অন্যদিকে খড়সহ সকল গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। সরে জমিনে গিয়ে জানা যায় গত ১০ দিন আগেও এক পন (আশিটি বোঝা) খড় বিক্রি হয়েছিল ৭০০ টাকা দরে। সেই খড় বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে। এছাড়া অন্যান্য গো-খাদ্যের মূল্যও আকাশছোয়া। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষজন উচ্চ মূল্যে খড়সহ অন্যান্য গো-খাদ্যে ক্রয় করাতে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা বলছেন করোনা আতঙ্কে গো-খাদ্যের জন্য খড় মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। করোনাকালে অনেক জমির ধান কাটা হলেও খড় সংগ্রহ করতে পারেন নি জমির মালিকসহ খামারি ও ব্যবসায়ীরা। যারা করোনা আতঙ্কে না থেকে খড় মজুদ করেছেন তারাই বর্তমানে চড়া দামে তা বিক্রি করছেন। তারা জানান দাম বেশি হলেও বন্যা না হলে গো-খাদ্যের সমস্যা হতো না। বন্যার পানিতে মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ঘাসের হদিশ ও পাওয়া যাচ্ছে না। একদিকে বন্যার কবলে নিজেদের থাকার সমস্যা আর অন্যদিকে গরু-ছাগল ও গো-খাদ্যের অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সকলেই। ফলে অনেক কৃষক ও খামারি বাধ্য হয়েই তাদের পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
উপজেলার লক্ষনপুর পঞ্চায়েতপাড়ার হেলাল ও বেলাল জানান অনেক কষ্টে তাদের ৪ বিঘা জমির খড় মজুদ করেছিল নিজেদের গরুর খাদ্যের জন্য। বর্তমানে বন্যায় কৃষকের সমস্যার কারনে অর্ধেক খড় বিক্রি করে দিচ্ছেন। খামারী জাকির ও শাহজাহান জানান পশুর খাবারের অভাব ও মূল্য বৃদ্ধি হবে আগে ভাবেন নি তারা। গ্রামে গিয়েও শুকনো খড় মিলছেনা। অনেক কষ্টে তারা ১৮০০ টাকা পন দরে ৩ ভ্যান খড় ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান তারা।
পশু সম্পদ অধিদপ্তর জানান, ব্যবসায়ীক শহর হলো নীলফামারী সৈয়দপুর। এই শহরে অনেক ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত খড় মজুদ করে রেখেছেন। বর্তমানে বন্যায় মাঠ-ঘাট, ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার অজুহাতে মজুদ করা ঐ সব খড় ও সকল ধরনের গো-খাদ্য চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।