ভোলার চাঞ্চল্যকর স্ত্রী-সন্তান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম মাহামুদুল হকের বিচার প্রক্রিয়ায় স্বামী বেল্লালকে দোষী সাবস্ত করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামী মোঃ বেল্লাল হোসেন পাটোয়ারী ১৬৪ ধারার আদালতে তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী তার সাথে মাস খানেক শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়ায় সে গত ২০১৭ সালের ২ জুন রাত্রে স্ত্রীকে জোর করে। এক পর্যায় সে বিছনার নিচে থেকে ছোট চাকু বের করে স্ত্রীর গলায় আঘাত করে। এতে তার গলা কেটে রক্ত বের হয়। এতে তার স্ত্রী মারা যায়।
এসময় নিজেকে বাঁচানোর জন্য বেলাল হোসেন স্ত্রীকে কম্বল পেচিয়ে ম্যাচের কাঠি দিয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সে তার ছেলেকে নিয়ে লাফিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। ওই আগুনে তার স্ত্রী পুড়ে মারা যায় এবং সাথে এক বছরের ছোট কন্যা সন্তানও আগুনে পুড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় অন্য কোন লোক জড়িত নয় বলেও তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আশরাফ হোসেন লাবু জানান, ২০১৭ সালের ২ জুন ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ২ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরকীয়া প্রেমের জেরে ড্রাইভার বেলাল হোসেন তার স্ত্রীকে প্রথমে গলা কেটে হত্যা করে পরে কম্বল পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই আগুনে তাঁর স্ত্রীর ও সাথে ১ বছরের কন্যা শিশু মোহনা আগুনে পুড়ে মারা যায়। এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ২ জুন ভোলায় স্ত্রী শাহানাজ ও কন্যা সন্তান মোহনাকে ঘুমের মধ্যে গলা কেটে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে মারে স্বামী মোঃ বেলাল হোসেন।