লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল বলেছেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ৭০ উর্ধ্বে। অনেকের বয়স ৯০ এর কাছাকাছি চলে গেছে। এ বয়সে সরকারিভাবে যে ভাতা দেওয়া হয় তা দিয়ে ওষুধের টাকাই হয় না। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার ঘোষিত জাতীয় প্রণোদনার মধ্যে এনে সহযোগীতা প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন।
ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল বলেন, মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। মূলত যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে সরকার পরিচালনা করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি তাদের উপরই বর্তায়। করোনার থাবায় স্থবির পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্র চিকিৎসাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নাগরিকদের রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উদ্ধাত্ত্ব আহ্বান রেখে বলতে চাই, রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর থেকে জনগণের বিশ্বাস উঠে গেলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর এখনও জনগণের আস্থা রয়েছে। বর্তমানে এ দুর্যোগকালীন মর্হুত্বে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তা বেকার, অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া ও করোনা আক্রান্তদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য সেনাবহিনীর কাছে দায়িত্ব অর্পণ করা জরুরি বলে মনে করি।
তিনি বলেন, সরকারি সহযোগিতা রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অনুযায়ী বন্টন করা যেতে পারে। যাদের পরিচয়পত্র নেই তাদের নাম যাচাই-বাচাই করে সরকারি সুবিধা পৌছে দেওয়া যেতে পারে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য আলাদাভাবে দলীয় পরিচয়ের দরকার নেই। রাষ্ট্র যেভাবে কাজ করলে মধ্যসত্ত্বভোগী, বঙ্গবন্ধুর পরিভাষায় চাটার দল থাকবে না সেভাবেই ত্রাণ বিতরণ করা উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশে একটি মানুষও যেনো না খেয়ে থাকে সে কথা বাস্তবায়ন করতে হবে।