রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় আদিবাসি কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে আটকৃত গীর্জার ফাদার প্রদিপ গে গরীর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এক বছরের বেশি সময় ধরে মুন্ডুমালা মাহালি পাড়ায় অবস্থিত সাধু মেরি ভিন্নেয়ানী গীর্জায় দায়িত পালনে তিনি সুন্দরী কিশোরীদের নানা ভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কাউকে ভাল চাকুরী পায়ে দিবেন, কাউকে লেখাপড়ার খরচ জোগাবেন এমন সব নানা প্রলোভন দেখাতেন।তাঁর এমন প্রলোভনে আকৃষ্ট হয়ে পড়তেন দরিদ্র আদিবাসি সম্প্রদায়ের কিশোরীরা। কারন তাঁরা গির্জার ফাদার কে ধর্ম গুরু প্রভু হিসেবে মানেন।
আর যারা তার এমন প্রলোভনে পড়তেন তাদেরকে টার্গেট করে তার নির্জন আবাসিক ভবনে থাকার ঘর গোছগাছ, এমনকি পোষাক আসাক লন্ডী করার কথা বলে ডেকে নিতেন।
আবার অসুন্থতার ভান করে কিশোরীদের শরীর ম্যাসেজের নামে যৌন লালসা মিটাতেন গ্রেফতার হওয়া আলোচিত ফাদার। মিশনপাড়ার একাধিক কিশোর-কিশোরীর সাথে কথা বলা হলে ধর্ষক ফাদার প্রদিপ গে গরীর বিষয়ে এমন সব তথ্য দিচ্ছেন ।
স্থানীয়রা বলেন, খ্রিষ্টার ধর্মে সব চেয়ে পবিত্র স্থান হওয়ার সুবাদে পরিবারের সবাই গীর্জার ফাদারদের প্রভুর মত বিশ্বাস করে থাকি। আর এ বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই ফাদার প্রদিপ গে গরী নানা অপকর্ম করেছেন। তার কঠোর শাস্তি না হলে দেশের সকল গীর্জার উপর মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে এবং উপজেলার প্রতিটি গির্জায় প্রশাসনের নজর দারির দাবি তুলেছেন।
তাঁরা আরো জানান ফাদারকে যারা ধর্ষণের মত ন্যাক্কাজ করার পরও যে সব বিচারক রা তাকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে শহরে পাঠিয়ে দিয়েছিলে তাদেরও বিচার হওয়া দরকার। বিশেষ করে মুণ্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামিল মারডিকে বিচারের আওতায় আনা একান্ত দরকার। তাঁর আশ্রয় প্রশ্রয়ে ফাদার নানা অপকর্ম করেই পার পেয়ে যেতেন।
এধর্ষণের ঘটনাই শিক্ষক ফাদারকে আইনের হাত থেকে বাচাতে পালানোসহ সালিশ বিচারের নামে ফায়তার করছিলেন। আমাদের অসহায়ত্ব দারিদ্রতার সুযোগ নেয় এসব ভণ্ডরা। এদের চরম সাজার দাবি করেন।অবশ্য কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় শহর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন লম্পট ধর্ষক ফাদার। ওসি রাকিবুল হাসান জানান ফাদারের বিষয়ে নানা বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি বর্তমানে কারাগারে।