রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এল জি এস পি প্রকল্প- ৩ এর আওতায় অটো বাইক এ্যাম্বুলেন্সে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগের সভাপতি সাংসদ ভাতিজা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নাম লিখা রয়েছে। যদিও কোন প্রকল্পের যানবহনে নিজের নাম লিখা যাবেনা। কিন্তু চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপট এবং গ্রামীণ এলাকার জনসাধারণকে ধোকা বানাতেই তিনি নাম লিখেছেন বলেও ইউপির বাসিন্দারা জানান। এতে করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড় সেই সাথে ক্ষোভে ভাসছে জনসাধারণ।
জানা গেছে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এল জি এস পি-৩ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার সুবিধার্থে ওই সময়ের কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি অটো বাইক এ্যাম্বুলেন্স স্থানীয় এলাকায় তৈরি করে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেন। কিন্তু এল জি এস পির টাকায় এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নিজের নাম লিখে পড়েছেন সমালোচনার মুখে।
চলতি মাসের গত ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে একজন চৌকিদার এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে থানা সদরে আসেন। এসময় সচেতন মহল থেকে শুরু করে সবার নজরে আসে সাদা কালারের এ্যাম্বুলেন্সটি। তাঁর এক সাইডে সাদার উপর কালো রং দিয়ে সাদা লিখা অর্থ বছর ২০১৮-২০১৯ ( এল জি এস পি ৩)। পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অটো বাইক এ্যাম্বুলেন্স। সৌজন্যেঃ মোঃ লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। চেয়ারম্যান ১নং কলমা ইউনিয়ন পরিষদ তানোর রাজশাহী।
এবিষয়ে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুস্তাফিজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এল জি এস পির ৩ প্রকল্প থেকে ইউপি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা ভেবেই চেয়ারম্যান এটা তৈরি করেছেন। এটা তৈরিতে ব্যয় কত হয়েছে এবং চেয়ারম্যানের নাম লিখা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান ব্যয়ের বিষয়টি স্বরন নেই প্রকল্পের, তবে আমি বাহিরে আছি বৃহস্পতিবারে দিতে পারব।
এ্যাম্বুলেন্সে কারো নাম লিখার নিয়ম নেই। কিন্তু ওই সময় তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন এজন্য হয়তো লিখেছে। অবশ্য অনেকে জানান খুব বেশি হলে ১ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে। বর্তমান কলমা ইউপির চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপনের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কমলা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি অফিসার সুজন কুমার দাস ওরফে এস কে দাস জানান যখন এ্যাম্বুলেন্সটি দিতে চাই আমরা বলেছিলাম চালক নেই রাখার জায়গা নেই। কিন্তু যেহেতু আমাদের এখানে থাকেনা প্রকল্পের না কিসের সেটাও জানা নেই। প্রকল্পের হলে নিজের নাম লিখা যাবেনা। আর এখানে কোন রোগীকে থানা সদরে পাঠাতে হলেও এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়না। ইউনিয়ন পরিষদেই থাকে। আর চৌকিদার এয়াম্বুলেন্স চালানোর নিয়ম নাই।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার ব্যাক্তিগত ০১৭১৬-৩৮৯৯৬০ নম্বরে বুধবার ১০ টা ১৫ মিনিটে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ০১৭১৯-১০৬৩২৮ নম্বরে ফোন দিলে বিজি পাওয়া যায়।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার রাজশাহীর উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহানের ০১৭১৩-৭৮৫৮৮৬ নম্বরে একাধিক বার ফোন দেয়া হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।