সৈয়দপুরসহ সারা দেশে ধর্ষণ নিপিড়নের জন্য দায়িদের ফাসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। ৮ অক্টোবর শহরের চলি¬শটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় দুই হাজার যুবক যুবতী ও ছাত্র-ছাত্রী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বেলা সালে ১১ টা পর্যন্ত উত্তাল ছিল রাজপথ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক নওশাদ আনসারির আহ্বায়নে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধর্ষকের ফাসিসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী নেতা খন্দকার আবিদা সুলতানা, ফারুক হোসেন, আহসান হাবিব, মঞ্জুর হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, মশিউর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুল ইসলাম, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সিমা ও প্রথম আলোর সৈয়দপুর প্রতিনিধি এম.আর আলম ঝন্টু প্রমুখ।
তারা বলেন ধর্ষকদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করে ত্রিশ দিনের মধ্যে ফাসি কার্যকর করতে হবে। প্রতিটি জেলায় ধর্ষন প্রতিরোধে আলাদা টাস্ক-ফোর্স গঠন করতে হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামারার আওতায় আনতে হবে। ধর্ষকদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। এসব হলে আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ধর্ষকদের সর্বচ্চো শাস্তি মৃত্যুদন্ড করতে হবে। যারা আইনের উচ্চ পদে রয়েছেন তাদের পদত্যাগ, ধর্ষক ও আশ্রয় দাতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে রাজপথ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল সরব।
স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুবক-যুবতীর অংশগ্রহণে গণঅবস্থান থেকে স্লোগান ছিল “করোনা ভ্যাক্সিনের আগে, ধর্ষণের ভ্যাক্সিন চাই” “নারি কোনো পণ্য নয়, নারি কোনো ভোগ্য নয়”, “নিপীড়ন যেখানে, লড়াই হবে সেখানে” আগামী দিনের ৩০ দিনের মধ্যে সকল ধর্ষকদের ফাসি কার্যকর করা না হলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পর বেলা ১২ টায় ছাত্র-ছাত্রী ঐক্য পরিষদ ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সারা দেশের ধর্ষকদের ফাসি কার্যকর করতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। তারা বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার ও বিরোধী দলের নেত্রী প্রধানও নারী। কিন্তু সে দেশের নারীরাই ধর্ষকদের ভয়ে আতঙ্কিত নিরাপদ নয়।