কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এউপজেলায় মাঠে মাঠে শোভা পাচ্চে রোপা আমন সবুজ ধানে শীষের সমারোহ ভালো ফলনের ব্যাপারেও আশাবাদী কৃষি দপ্তর। শুধু ধান না এবারে জোর দেওয়া হয়েছে উন্নতমানের ডাল তেল মসলা বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পে।
এজন্য কৃষকদের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে উপজেলা কৃষি দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কৃষক সভা। উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল হক। তিনি কৃষকদের বলেন ধান চাষের সাথে সাথে উন্নতমানের ডাল তেল মসলা চাষ করতে হবে।
যেসব কৃষক এসব চাষ করবেন তাদেরকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে । আপনারা এসব উৎপাদনে এগিয়ে আসুন তাহলে উপজেলাবাসির জন্য অন্য জায়গা থেকে এসব পণ্য আমদানি করা লাগবেনা। এসব উৎপাদনের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন যাতে করে স্থানীয় ভাবে এর চাহিদা পুরুন করে যেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা যায়।
বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক(শস্যা), উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হক তিনি বলেন ডাল তেল মসলা জাতীয় ফসলের বীজের চাহিদা স্থানীয় ভাবে পুরুনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন উদ্দ্যেক্তা তৈরি করতে নিয়োমিত কাজ চলছে যার ফলে অনেকেই এর সুফল পেয়েছেন।
স্বাগত ও সমাপ্তির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন এপ্রকল্পে সাত ইউপি দুই পৌর এলাকায় ৯জন উদ্দ্যেক্তা রয়েছেন। তাদের উৎপাদিত এসব পণ্য উপজেলার জনসাধারণের ৩৫ ভাগ চাহিদা মিটিয়েছে। আশা করছি চলতি অর্থ বছরে ৫০ ভাগ চাহিদা মেটানো যাবে। দিনের দিন নতুন উদ্দ্যেক্তা তৈরি করছি।
কৃষি দপ্তর সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখছে। কারন এউপজেলার জনসাধারণ আদিকাল থেকেই ব্যাপকহারে ধান উৎপাদন করে থাকেন। ধানের পরে আলু চাষ করেন। সরকার এসবের পাশপাশি নানা ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদনে জোর দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি পতিত জমি যাতে কোন ভাবেই পড়ে না থাকে।এলক্ষেই কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে মাঠ জুড়ে রোপা আমন ধানে শীষ বের হওয়া শুরু হয়েছে। কার্তিক মাসের শেষ দিক থেকে ধান কাটা শুরু হবে। কৃষি অফিস জানায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ২২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অর্জন হয়েছে ২২ হাজার ৩৮৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসার জানান আসা করছি বরাবরের মত এবারো ফলন ভালো হবে।