সৈয়দপুর শহর থেকে দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য মাষ্টার ড্রেন গুলি ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পাড়া মহল¬ায় চলাচলের রাস্তা দিয়ে হেটে গেলেই দুর্গন্ধে নাক ঢেকে যেতে হয়। প্রায় এক যুগ ধরে শহর থেকে পানি নিস্কাশনের মাষ্টার ড্রেন গুলি পরিস্কার না করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ভরে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও ঘর বাড়ি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শহরের বাঁশবাড়ী, মিস্ত্রিপাড়া, সাহেবপাড়া, নতুন বাবুপাড়া ও নয়া বাজার মহল¬ায় ডাস্টবিন না থাকায় ওইসব এলাকার বসবাসকারীরা ড্রেনেই বর্জ্য ফেলছেন। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা চানাচুর ও তেলের বর্জ্য, পঁচা ফলমূল, পঁচে যাওয়া শাক-সবজি, প¬াষ্টিক বোতল ও পলিথিন ফেলে পরিবেশ দূষিত করছেন। সম্প্রতি কাজে আসছে না ড্রেনেজ ব্যবস্থা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন ড্রেনগুলিতে পরিস্কার কাজ চললেও পাড়া মহল¬ার আবর্জনায় ভরা ওইসব ড্রেনগুলি দেখার যেন কেউই নেই।
শহরের বাসীর অভিযোগ পাড়া মহল¬ার মাষ্টার ড্রেনগুলির সাথে প্রধান সড়ক সংলগ্ন ড্রেনের সাথে সংযুক্ত হয়ে পঁচা নালা ও খড়খড়িয়া নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। প্রধান সড়কের পাশ ঘেষে মাষ্টার ড্রেনগুলির সাথে মহল¬ার মাষ্টার ড্রেনগুলিও পরিস্কার করা হলে ভারী বর্ষণ বা বন্যা হলেও কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা যেতোনা। অন্যদিকে পরিবেশও দূষন মুক্ত থাকতো।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জানান প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভাকে ঢেলে সাজাতে প্রায় প্রতি বছরই সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিচ্ছেন। শুধু দায়িত্ব থাকা পৌর পরিষদের উন্নয়নের মনোভাব না থাকার কারণেই মুখথুবড়ে পড়েছে উন্নয়ন ব্যবস্থা। এর ফলে সৈয়দপুরের মানুষ নাগরিকের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে সৈয়দপুর পৌরসভা। কোন ওয়ার্ডে কি কি সমস্যা রয়েছে, নাগরিক সুবিধার জন্য কি কি নির্মাণ প্রয়োজন তার চাহিদা দিতে বলা হয়েছে কাউন্সিলরদের। যেসব কাউন্সিলররা তাদের উন্নয়নের চাহিদা দেননি, শুধু তাদের ওয়ার্ডেই কিছুটা উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছে। তবে অল্প দিনের মধ্যেই সব ওয়ার্ডেই ঢেলে সাজানো হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।