মাগুরায় শিশু হত্যা রহস্য উৎঘাটনে পুলিশের প্রশংসনীয় ভুিমকা। সল্প সময়ে রহস্য উৎঘাটন এবং নদী থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে পুলিশ ইচ্ছা করলে সব করতে পারে তার প্রমান করেছে।
মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান এর সার্বিক তত্বাবধনে মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নুল আবেদনের নেতৃত্বেপুলিশ তৎপরতা চালিয়ে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন করে।
পুলিশ জিডির মাধ্যমে জানতে পারে মাহিদ হোসেন (৭) নামের এক শিশু গত ৭ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাড়ি মাগুরা সদর থানার বারাশিয়া থেকে নিখোঁজ হয়। শিশু মাহিদের পিতা মুজিবুর রহমান ছেলেকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মাগুরা সদর থানায় এসে পরের দিন একটি জিডি করে।
এর মধ্যে অজ্ঞাত মোবাইল থেকে মুক্তিপন দাবি করা হয়। জিডির সূত্র ধরে মাগুরার পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষনের ভিত্তিতে ঘটনার সংশ্লিষ্টতার দায়ে রোহান ও তার বাবা আসলাম মোল্যাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে, নিখোঁজ শিশু মাহিদকে তালের ডুঙ্গার সঙ্গে বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে একই গ্রামের রোহান (১৪)।দুদিন খোঝাখুজির পর মাগুরার নবগঙ্গা নদী থেকে মাহিদের লাশ ও ডোঙ্গা উদ্ধার করে। হত্যার পর রোহান তার বাবা মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনা বিস্তারিত জানায়। মুজিবুর রহমান তার ছেলেকে নিয়ে পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে ঘটনার দিন ৭অক্টোবর রাতে পালিয়ে পাশর্^বর্তী শ্রীপুর থানায় অবস্থান করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রোহান হত্যার ঘটনা স্বীকার করে এবং তার বলা মতে ঘটনাস্থল নবগঙ্গা নদী থেকে বিকেলে শিশুর মৃতদেহ এবং ডুঙ্গা উদ্ধার করে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। এ সংক্রান্তে মাগুরা সদর থানায় অপহরণ পূর্বক চাঁদা দাবী ও হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে নিয়মিত মামলা হয়েছে মর্মে জানান মাগুরার পুলিশ সুপার খান মোহম্মদ রেজোয়ান।তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে নিহত শিশুর অভিভাবকদের জানান।