মাস খানেক হলো ব্যবসা শিঁকেয় উঠেছে গাংনীর ফুটপাথের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের। মহামারি করোনা বিস্তার ও প্রভাব প্রতিরোধে সরকার ফুটপাথের ব্যবসায়িসহ সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে অন্যান্য দোকানপাট সাময়িক খোলা থাকলেও পুরোপুরো বন্ধ রয়েছে ফুটপাথের দোকানগুলো। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দনিপাত করছেন তারা।
জানা গেছে, মহামারী করোনা দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর খাবার, কাঁচামাল ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। কপাল পোড়ে চায়ের দোকানসহ ফুটপাথের কারিগরদের। বিপাকে পড়েন তারা। এদিকে অন্যান্য দোকান মাঝে মধ্যে খুলে ব্যবসা করছেন অনেকে। তবে ফুটপাথের চায়ের দোকানী ও ক্ষুদ্র কারিগরদের কোন উপায় নেই। দোকান খুলতে না পারায় তাদের চুলো জ্বলেনা।
গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে ফুটপাথের চায়ের দোকানী আশা বেগম জানান, স্বামী একজন মোটর শ্রমিক। সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানো আর মেয়ের লেখাপড়া করানো সম্ভব হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে একটা চায়ের দোকান খুলে বসি। কোন রকম সংসার চলছিল। কিন্ত মাস খানেক হলো করোনার কারণে দোকানটি বন্ধ করেছে প্রশাসন। সরকারী কোন সহযোগিতা পাননি তিনি।
ফুটপাথের কারিগর বজলুর রহমান জানান, নিজস্ব দোকান নেই তাই রাস্তার পাশে চট বিছিয়ে ছাতা, টর্চলাইট মেরামত ছাড়াও নষ্ট তালা চাবি মেরামত করা হতো। এখান থেকে যে আয় হতো তা দিয়ে সংসার চলতো। এখন মহামারীর কারণে ফুটপাথের ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে গেছে। একই কথা জানালেন চায়ের দোকানী রফিকুল ইসলাম, জেনারুল ও মকলেছ।
ফুটপাথের হোটের ব্যবসায়ি মিনা কুমারী জানান, স্বামীর সাথে তিনি রাস্তার পাশে হোটেল খুলে বসেন। কোন রকম দিনপাত হচ্ছিল। কিন্তু সেটি বন্ধ হওয়ায় মহা সংকটে পড়েছেন তারা। সরকারী সহযোগিতা পাননি আবার এমন কোন অর্থ নেই যা দিয়ে সংসার চালাবো।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাদেরকে সহযোগীতা করা হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হবে। সকলে প্রচেষ্ঠায় করোনা মোকাবেলা করতে হবে।