বগুড়ার সদর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম অভিযান চালিয়ে শহরের সাতানি ব্যাটারি অটো স্ট্যান্ডের গলি থেকে বুধবার মধ্য রাতে ইজিবাইক থেকে টাকা আদায় কালে নগদ ১৮২০ টাকাসহ হাতে নাতে কামরুল হাসান ওরফে তন্ময়কে গ্রেফতার করে। পুলিশের একটি সুত্র জানান, কামরুল হাসান ওরফে তন্ময়কে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর তেতুলতলা গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, কতিপয় ব্যক্তি শহরের সাতানী বাড়ীর গলির মুখে রাস্তায় চলাচলরত ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক চালকদের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখে ১০/২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়ার সদর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এস আই (নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম রবির নেতৃত্বে একদল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোঃ কামরুল হাসান ওরফে তন্ময়কে চাঁদা আদায়ের নগদ ১,৮২০/- টাকাসহ গ্রেফতার করে ৷ এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তন্ময়ের ২/৩ জনের সঙ্গী দল ঘটনার স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
চালকদের নিকট থেকে ও স্থানিয়রা জানান, ক্ষমতাশীল দলের কিছু নেতা শহরের সাতানী বাড়ীর গলিসহ বিভিন্ন জায়গায় চলাচলরত ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক ও ভ্যানদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য তাদের পোষা কিছু ছেলেদেরকে নিয়োজিত করে এবং অসহায় গরীব দিন মজুর চালকের প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রতিদিন দু’বেলা ২০/৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। এই টাকা পুলিশের নাম ভেঙ্গে ও নেতার দাপটে এই টাকা গুলো আদায় করে। অন্যথায় তারা রাস্তায় ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালাতে পারে না।
আরো জানা যায় যে, প্রতিদিন সাতানী বাড়ীর রোড, শেরপুর রোড সহ বিভিন্ন রোড থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করে বর্তমানে উক্ত ক্ষমতাশীল দলের নেতাদের আঙ্গুল ফুলে কলার গাছ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত রাস্তায় কয়েকজন ইজিবাইক চালক জানান, আমরা প্রতিদিন ৩০০/৪০০ টাকা করে ভাড়া খাটি তারমধ্যে চার্জের টাকাসহ গাড়ীর মালিককে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে দিতে হয়। আমাদের কাছে থাকে ১৫০/২০০ টাকা এটা দিয়ে আমাদের অভাবের সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে যায়। তার মধ্যে কয়েকটা দলীয় লোক তাদের নেতাদের ভয়ভীতি দেখে আমাদের কাছে প্রতিদিন ২০/৩০ টাকা করে নেয়। আমরা খুব কষ্ট করে জীবন যাপক করি। আমরা যদি তাদের টাকা না দেই বাবা, তাহালে তারা আমাদেরকে মারপিট করে, রাস্তায় গাড়ী চালাতে দেয় না। আমরা নিরূপাই হয়ে তাদেরকে টাকা দেই।
বগুড়ার সদর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এস আই (নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম রবি জানান, আমাদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্য রাতে এক জনকে ইজিবাইকে টাকা আদায়ের সময়, চাঁদা আদায়ের টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে একটি উক্ত ঘটনায় সদয় থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরোও বলেন, এই বগুড়ার সদর ফাঁড়িতে আমি যতদিন আছি, ততদিন আমার ফাড়িঁ এলাকাতে যে কোন দলের নেতাকর্মিরা কোন প্রকার চাঁদাবাজি, সস্ত্রাসীসহ অপকর্ম করতে পারবে না। যদি করে তাদেরকে আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিবো। আইন সবার জন্য সমান।