কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হত-দরিদ্র গৃহবধু শেফালী বেগম নগদ অর্থ, ছাগল, হাঁস-মুরগি ও খাদ্য পণ্য পেয়েছে। আজ রোববার ২৯ নভেম্বর বিকালে উলিপুর উপজেলার উত্তর দলদলিয়া করতোয়ার পাড় গ্রামে অবস্থানরত ঐ গৃহবধুর বাবার বাড়ীতে এসে জেলা প্রশাসকের পক্ষে খাদ্য সংকটে পরা পরিবারকে এ সব সাহায্য ও অনুদান প্রদান করেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি ও এনজিও মহাদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলদলিয়া ইউ,পি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাপা সভাপতি আতিয়ার রহমান মুন্সি, মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থর উপ-পরিচালক অমল মজুমদার , এরিয়া ম্যানেজার শ্রী দেবেন্দ্রনাথ দেব, স্থানীয় আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন উলিপূর শাখা সভাপতি মোঃ আদম আলী, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন খাঁন প্রমুখ। জানা গেছে, নেশা গ্রস্থ স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের হিংস্রতা ও শ্বশুর বাড়ীর লোক জনের নির্যাতনের শিকার হয়ে শেফালী বেগম (৩০) নামের ঐ গৃহবধু দু’কন্যা সন্তান নিয়ে প্রায় দু’বছর থেকে বিধবা মায়ের অশ্রয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছিল।
নিজের ও সন্তানের ভরন-পোশন না পাওয়ায় করোনা কালে খাদ্য সংকটে পরে শেফালী ! নিরুপায় হয়ে শেফালী প্রাণ বাচাতে ১৫ মাসের অবুজ শিশুকে অন্যের নিকট দত্তক দিয়েছেন। এমনি এক হৃদয় বিদারক ঘটনার খবর গত ২৫ নভেম্বর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়। যা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নজরে পরলে তিনি পরিবারটির খোজ-খবর নেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি সাহায্যের পাশাপাশি অসহায় শেফালীর স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন ! ওই গৃহবধুর দাম্পত্য পূনোরুদ্ধারসহ ভরন-পোশনের দাবী আদায়ে অভিযুক্ত স্বামী আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস প্রদান করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ঘটনায় মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকেও অসহায় শেফালিকে সাহায্য ও সহযোগিতা দেয়া হয় !