মূল গল্প -আহম্মদ আলী হাসান, রচনা -সাগর জাহান, ওয়ালিদ হাসান,পরিচালনা -সাগর জাহান। অভিনেতা/অভিনেত্রী ঃ অপূর্ব, সাফা কাবির, আরো অনেকে…
নাট্য ভাবনা ঃআসিফ ও লিয়ার একমাত্র কন্যা সুপ্তি। লিয়া বেশ কিছুদিন হলো লক্ষ্য করে তাদের ছয় বছরের সুপ্তি লিয়াকে মা ডাকে না।বাবাকে বাবা, ফুপিকে ফুপি বা অন্য সব কথাই বলতে পারে, বাবা মাকে ভালও বাসে, শুধু মা বলার ক্ষেত্রে এসে চুপ হয়ে যায়।
আসিফ প্রথমে বিশ^াস না করলেও পরে খেয়াল করে খুবই অবাক হয়। মা না ডাকার কোন কারণ এই দম্পতি খুঁজে পায়না। আর অভিমান করে মা না ডাকার মতো বয়স বা বুদ্ধি সুপ্তির হয়নি। শুধু সুপ্তির কথা বলতে একটু দেরি করেছিল।
সেটারজন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়নি। এমন অনেক বাচ্চাই দেরিতে কথা বলে। সুপ্তিতাদের অনেক আদরের সন্তা।অনেক কৌশলেই তারা সুপ্তির মুখে মা ডাকানোর চেষ্টাকরে ব্যার্থ হয়ে পরবর্তীতে তাদের পরিচিত শিশু ডাক্তারের কাছে যায়।ডাক্তার দেখে তাদের একজন ভাল সাইকিয়াটিস্টকে দেখাতেবলে।
বিখ্যাত সাইকিয়াটিস্ট হেলেন জেরিনের কাছে যান তারা। হেলেনও কোন কারণ উদ্ঘাটন করতে পারে না। সুপ্তিরকোন শারিরিক সমস্যাও নেই। কোন এক সেশনেসাইকিয়াটিস্ট আসিফ ও লিয়ার অতীত জীবন সম্পর্কে জানতে চায়।
সেটা শুনেও তেমন কোন প্রবলেম পায়না। কিন্তু ভেতরভেতর আসিফ আর লিয়ার কেমন যেন একটা দ্বিধা কাজ করে। এই দ্বিধা আসলে কিসের? তারা প্রেম করে বিয়ে করেছে।যদিও বিয়ের ঠিক দুই মাস আগে একটা অঘটন ঘটে।
সেই ঘটনাই কি অঘটনার জন্ম দিল! সেই অঘটনার জন্যই কি সুপ্তিলিয়াকে মা ডাকে না! এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে নাটকটা দেখতে হবে শেষ পর্যন্ত…। লোকেশনঃ ঢাকার সুন্দর একটা বাড়ি, ডাক্তারের চেম্বার, পার্ক….