রাজশাহীর তানোরে অবৈধ ভাবে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও বাণিজ্যিক ভাবে জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি(টপসয়েল) বিক্রি করা হ”েছ বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে করে ফসলী জমির উর্বরতা কমে যাবে বলে একাধিক কৃষকরা জানান। এছাড়াও জমির মাটি হেরো ট্র্যাক্টরে করে বহন করায় পাকা রাস্তায় মাটি পড়ে ধূলায় পরিণত হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির পাড়িশো-দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা দাওয়াত আলীর পুত্র হযরত আলী উপজেলা কৃষি বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ফসলী জমির (টপ সয়েল) উপরিভাগের উর্বরা মাটি ইট ভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন। এদিকে অবৈধ স্কেলটর (ভেঁকু) মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে এসব মাটি কেটে হেরো ট্র্যাক্টরে করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যা”েছ।অন্যদিকে এসব মাটি পরিবহনের সময় রাস্তায় মাটি পড়ে রাস্তা ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রামবাসী রাস্তা নস্টের প্রতিবাদ ও মাটি কাটা বন্ধ করতে গেলে ভেঁকু মেশিনের লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে কৃষি জমি নস্ট করে মাটি কাটা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন কোনো ব্যব¯’া গ্রহণ করছে না।
অথচ কদিন আগেই খালের খননকৃত মাটি পরিবহণের অপরাধে দুই জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেয়া হয়েছিল । এখন প্রশ্ন হলো খালের খননকৃত মাটি পরিবহণ যদি অপরাধ হয় তাহলে ফসলী জমির মাটি বিক্রি কি অপরাধ নয়-? অন্যদিকে মাটি পড়ে রাস্তা নস্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন,সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত জমির শ্রেণী পরিবর্তন বা উপরিভাগের (টপসয়েল) মাটি কাটার কোনো সুযোগ নাই এটা দন্ডনীয় অপরাধ।এব্যাপারে জমির মালিক হযরত আলী বলেন, তার জমির মাটি তিনি কাটছেন এখানে অনুমতি নেয়ার কি আছে।