সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের মাদক বিরোধী ধারা বাহিক অভিযানকে থামিয়ে দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকসহ ধৃত মাদক ব্যবসায়ী শাহাজানোর স্ত্রী আসমার নেতৃত্বে কুট-কৌশরের অংশ হিসেবে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪’টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ যেন চোরের মার বড় গলা।
জানা যায়, গত ২০’নভেম্বর ২’হাজার ২০’ইং তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ মশিউর রহমান বিপিএম বার যোগ দান করেন। যোগ দানের পর থেকে থানা এলাকা মাদক মুক্ত করতে থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এ মাদক বিরোধী অভিযানকে ব্যাহত করতে উঠে-পরে লেগেছে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের গডফাদাররা। এর অংশ হিসাবে গতকাল বুধবার বিকেল ৪’টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক মাদক ব্যসায়ীর স্ত্রী নিজেকে গার্মেন্টস কর্মি পরিচয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। মাদক ব্যসায়ী শাজাহানের স্ত্রী মানববন্ধনের নেতৃত্ব দানকারী আছমা বেগমের সন্তান অনিক শিমরাইল এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে শুভ হত্যার এজহারনামীয় আসামী। এ আসমার স্বামী শাহাজান মাদকসহ কয়েকদিন পূর্বে থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
কথায় বলে চোরের মায়ের বড় গলা। স্বামীর পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে গামেন্টর্সকর্মী পরিচয় দিয়ে থানা পুলিশের সম্বান হানী করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের গডফাদাররা। বিশেষ করে শিমরাইল এলাকার মরহুম রেজা মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সুমি বেগমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে মাদক ব্যবসায়ীরা এক জোট হয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে নেমেছে।
এরি ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে মাদক ব্যবসায়ী শাহাজানোর ন্ত্রী আসমা বেগম বলেন, পুলিশ তার ঘরের তালা ভেঙ্গে মালামাল ক্ষয়-ক্ষতিসহ নগদ ৫০’হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়। যা সর্ম্পণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী শাহাজানের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়।
ঘরের দরজা খোলা ছিল। টাকা ও স্বর্ণলংকার কিছুই পাওয়া যায়নি। উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সামনে এ অভিযান পরিচালোনা করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান বিপিএম বার বলেন, আসমাসহ তার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সাথে জরিত। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে আসমা পালিয়ে যায়। তার ঘরের মধ্যে মাদক আছে মর্মে গোপন সংবাদে জানতে পারি। তাকে না পেয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ঘরে তল্লাসী চালিয়ে মাদক না পেয়ে আমরা ফিরে আসি। অভিযানে আমি নিজেই উপস্থিত ছিলাম।