নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাদকাসক্ত বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের বাঁশবাড়ির শেরেবাংলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায়। নিহত যুবকের নাম ইমরান হোসেন খন্দকার (২৭)। সে চার্টটার্ড একাউন্টটেন্ট হিসেবে ঢাকায় একটি ব্যাংকে কর্মরত।
এলাকাবাসী জানায়, বাঁশবাড়ী শেরেবাংলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এস এম আরিফ ওরফে মানিকের ছেলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারী মোঃ জাকির হোসেন খন্দকার (৩২) মাদকাসক্ত। সে সংসারে কোন টাকা পয়সা না দিয়ে বেতনের টাকায় নেশা করে। বেতনের টাকা শেষ হলে নেশার খরচের জন্য বাবা মানিকের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
না দিলে নানা অত্যাচার করায় পরিবারের সকলেই অতিষ্ঠ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ ডিসেম্বর বুধবার রাতে আবারও টাকার জন্য জাকির হোসেন খন্দকার অশান্তি শুরু করে এবং বাবা মানিকের উপর হাত তোলে। এর প্রেক্ষিতে বাবা মানিক বিষয়টা ছোট ছেলে ইমরান হোসেন খন্দকার (২৭) কে জানালে সে ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দপুরে আসে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই বড় ভাই জাকির হোসেন খন্দকার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় বড় ভাই রান্না ঘর থেকে ছুড়ি এনে ছোট ভাইয়ের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসে।
নিহত ইমরানের বাবা মানিক জানান, শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কের ঔষধ ব্যবসায়ী আবুল কালাম আমার বড় ছেলে জাকির হোসেনকে মাদকাসক্ত করেছে। প্রায় প্রতিদিনই তার ঔষুধের দোকান থেকে নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করে সেবন করে। ঘটনার দিনও তার দোকান থেকে টাপেন্ডাডল ট্যাবলেট সেবন করে এই হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।