শুরু হল বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ মাসেই অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করে অর্জিত এ বিজয় ছিল আনন্দ ও গৌরবের এবং একই সঙ্গে ছিল প্রিয়জন হারানোর গভীর শোক। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতি দৃঢ় শপথ নিয়েছিল স্বাধীনতা অর্জনের। ২৫ মার্চের নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বাঙালি জাতি রুখে দাঁড়িয়েছিল শোষণের বিরুদ্ধে। ৩০ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙালি জাতি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল ১৬ ডিসেম্বর।
১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঙালি বীর সন্তানদের সঙ্গে যুদ্ধে একের পর এক পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর জল, স্থল ও আকাশপথে সাঁড়াশি অভিযানের মুখে ক্রমাগত পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানী বাহিনী এবং এর ফলে মুক্তিকামী বাঙ্গালীর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর।
নভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯)-এর মহামারীর এই কঠিন সময়েও মাসব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবং নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয়ের ৪৯ বছর উদযাপন করবে এ দেশের মানুষ। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি’র চেয়ারম্যান হিসেবে আমি খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা দেশবাসিকে বিজয় দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।