কুমিল্লার হোমনায় কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের লাইন মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হুমায়ুন ফরিদী সাজু (২৫) নামে এক টেকনিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পঞ্চগড় জেলার দিঘল গ্রামের মৃত সাবুল মিয়ার ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে হোমনা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সহকর্মীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি উদ্ধার করে গতকাল শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সহকর্মী নন্দন রায় জানান, প্রিমিয়াম কানেক্টিভিটি লিমিটেডের ইন্টারনেট লাইন মেরামত করার জন্য বৃহস্পতিবার তারা তারা চারজন এক সঙ্গে গেীরিপুর থেকে হোমনায় আসেন। দুপুরে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হোমনা-বাঞ্ছারামপুর সড়কের পশ্চিম পাশের এলাকায় ইন্টারনেটের লাইন সংযোগ দেওয়ার জন্য হুমায়ুন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠেন।
হঠাৎ করেই বিদ্যুতের স্পার্কিং দেখি। সঙ্গে সঙ্গে কোমরে বেল্ট বাধা অবস্থায় খুঁটিতে ঝুলে পড়ে হুমায়ুন। এ সময় বিদ্যুতের তারটি ছেড়া আর ঝুলতে দেখা যায়। পরে সহকর্মী তিনজনসহ স্থানীয়দের সহায়তায় ঝুলন্ত হুমায়ুন ফরিদীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাহিদা সিকদার বিদ্যুতস্পৃষ্টে হুমায়ুন ফরিদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুত সমিতি-৩ হোমনা জোনাল অফিসার আজিজুর রহমান সরকার বলেন, থ্রি-জি, ফোর-জি ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য পল্লী বিদুতের খুঁটি ব্যবহার করতে পারবে। তবে যখন তারা কাজ করবে তখন অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এরিয়ার বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করে কাজ করার কথা।
আমাদের আগে জানালে ওই লাইনের বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখতাম। কিন্তু তারা না জানিয়েই কাজ করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হয়।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারও কোনো অভিযোগ পেলে ময়না তদন্তের পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।