ভারত সরকার তথা দেশবাসী যখন কার্যত ভাবতে শুরু করেছে যে, করোনাভাইরাসের যুদ্ধে জয় পাওয়া গিয়েছে, তখনই প্রায় প্রতি দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড তৈরি হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। রবিবারও এক দিনে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যায় নজির সৃষ্টি হল। এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। এ দিন নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৬৪৪ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও ৪০ হাজার ছুঁইছুই (৩৯৯৮০)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। এই বৃদ্ধিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১৩০০-র গণ্ডি।
আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩০১ জনের। এই মৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই মৃতের সংখ্যা ৫০১। ২৬২ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে। মধ্যপ্রদেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫১ জন। দেশে আর কোনও রাজ্যে অবশ্য শতাধিক মৃত্যু নেই। রাজস্থানে মৃত ৩৫, দিল্লিতে ৬৪।
গত শুক্রবার নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭, শনিবার সেই সংখ্যা ৭০। তবে এত দিন মোট করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দেওয়া হলেও এই বুলেটিনগুলিতে সেই পরিসংখ্যানের উল্লেখ নেই। কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যুর সংখ্যার উল্লেখও করা হয়নি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কত, তা এই প্রথম লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। বুলেটিন অনুযায়ী, দু’দিনে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬০ জন। এ দিন এম আর বাঙুরে মোট ৪০ জন রোগীকে একসঙ্গে ছুটি দেওয়ার সময় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২২। রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। তবে রাজ্য সরকারের হিসেবে এত দিন মোট করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দেওয়া হলেও শনিবার এবং শুক্রবারের করোনা বুলেটিনে সেই পরিসংখ্যানের উল্লেখ নেই। শনিবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। রাজ্যের বুলেটিনে কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যুর সংখ্যার উল্লেখও করা হয়নি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কত, তা এই প্রথম লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে শনিবার।
বুলেটিন অনুযায়ী, দু’দিনে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬০ জন।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও রাজ্যগুলির দাবি, টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর কারণেই এত সংখ্যক আক্রান্ত বাড়ছে। তার মধ্যেই আবার ছাত্র, পর্যটক ও পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যে ফিরতেও শুরু করেছেন অনেকে। কিন্তু অনেকেরই আশঙ্কা, এতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে একটাই আশার কথা, এ পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৬৩৩ জন।