বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় নগর আ’লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন “বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের সফলতার পিছনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সরাসরি জড়িত। আমি দুঃসময়ে সেই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি বিভিন্ন ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করে।
বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের লোভ লালসার উর্ধ্বে সংগঠন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে ধারণ করে জননেত্রীর হাত কে শাক্তিশালী করতে হবে আমাদের। তিনি আরও বলেন ছাত্রলীগ বাংলাদেশের অপর নাম যেটা ছাত্রলীগ যুগে যুগে রক্ত দিয়ে সেটা প্রমাণ করে গেছেন। ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সকল অপচেষ্টা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে তাহলে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতির পিতার দৌহিত্র বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় বলেন “বাংলাদেশ আ’লীগের মূল শক্তি ছাত্রলীগ। আমাদের তরুণদের মেধা মনন ও সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। সকল অপশক্তিকে আমাদের রুখতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নয়ত রাষ্ট্র গঠনের দিকে ধাবিত। সেই ধারাকে ধরে রাখতে হলে তরুণ প্রজন্ম তথা ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে।” খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সিটি মেয়র এ সংসদ সদস্য শেখ তম্ময়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান উদ্যাপন করেছে নগর ও জেলা ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয় এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। বাদ যোহর শঙ্কমার্কেটস্থ আজমীরি জামে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের এবং আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর দুপুর ২টায় দলীয় কার্যালয়ে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিকেল ৩ ঘটিকায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, নগর সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তরুজ্জামান বাবু।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ, বিএমএ সালাম, শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, রফিকুর রহমান রিপন, সরফুদ্দিন বিশ^াস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, আলী আকবর টিপু, এড. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জি এম মহাসিন রেজা, অসিত বরণ বিশ^াস, সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মোঃ আবু হানিফ, চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ, মোতালেব মিয়া, রণজিত কুমার ঘোষ, মুসফিকুর রহমান সাগর। নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার।
নগর ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ও মোঃ ইমরান হোসেনের পরিচালনা আরও উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগ নেতা শওকাত হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল বিশ^াস, তাজমুল হক তাজু, মারুফ হুসাইন, মাসুদ হোসেন সোহান, রণবীর বাড়ই সজল, মাহামুদুল হাসান শাওন, জব্বার আলী হীরা, মিনহাজ সুজন, জহির আব্বাস, রফিকুল ইসলাম রফিক, জুবী ওয়ালিয়া টুই, ইয়াসিন আলী, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মান্না, পাপ্পু সরকার, জাহিদুর রহমান জাহিদ, দিদারুল আলম, জাকারিয়া রহমান ওমান, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, সৌরভ আঁশ, মো সুমন শেখ, মোঃ সাব্বির হোসেন, রহমত সরদার, নিশাত ফেরদৌস অনি, শরিফুল ইসলাম টিংকু, মোঃ ফয়সাল শরিফ, রুমান আহমেদ, আতিকুর রহমান সোহাগ, মাসুদ রানা, রিয়াজুল ইসলাম, লিটন সরদার, তানজিম মোস্তাফিজসহ নগর ও জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অলোচনা সভা শেষে সভার প্রধান অতিথি ও সম্মানিত অতিথি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৭৩ পাউন্ডের কেক কাটেন। নগর ও জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সম্মানিত অতিথি শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপিকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এর পূর্বে নগর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দদের উত্তরীয় পরিধান করে সম্মানিত করা হয়।