সিদ্ধিরগঞ্জের ইপিজেড ফ্যাশন সিটিতে ৪’মাসের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শতাধিক শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাংরোড সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সৃষ্টি হওয়া যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীগণ। বেলা সাড়ে ১২’টায় পুলিশ ঘটনাস্থল এসে সমাবেশে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে শ্রমিকরা জানায়। বিকেল ৩’টায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪’এর সিনিয়র এএসপি আইনুল হক এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শরীফ আহমেদ আগামী ১২’জানুয়ারি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের শান্তির আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা জানায়, কুংতন এ্যাপারেলস লিমিটেডে প্রায় সাড়ে ৬’হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। ৪’ মাস আগে প্রতিষ্ঠানটি এক মাসের কথা বলে বন্ধ করে দেয়। এক মাস পর বেতন নিতে শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানে গেলে তারা আরো ১’মাসের বন্ধের কথা বলে পরের মাসের ১২’তারিখে আসতে বলে। পরের মাসে ১২’তারিখে বেতন নিতে গেলে তারা তার পরের মাসে আমাদের যেতে বলে। ডিসেম্বরে গেলে বেতন পরিশোধ না করে জানুয়ারির ৭’তারিখে যেতে বলে। আজকে আমরা আসার পর তারা আবার আমাদের বলছে জানুয়ারি ১২’তারিখে যেতে।
কারখানা বন্ধ থাকবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বেতনের প্রসঙ্গে আসলেই তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। তারা জানায়, আমরা প্রতিষ্ঠান মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, বেপজার লোকজন আমাদের বিষয়টি বলার পর আমরা শুনতেছি। এর মধ্যে কয়েকজন আনছার আইসা আমাদের কয়েকজন মহিলার ওপর আক্রমণ করে।
এ ঘটনায় অনেক শ্রমিক আহত। এক শ্রমিক গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শ্রমিকদের দাবি, ৪’মাস যাবৎ আমরা অপেক্ষা করছি। প্রতিষ্ঠান মালিকরা আমাদের এভাবে না ঘুরায়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলুক। আমাদের বেতন বোনাস পরিশোধ করে দেয়া হোক। নয় আমাদের কোনো একটা সিদ্ধান্ত দিক।
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-৪ এর সিনিয়র এএসপি আইনুল হক জানান, আমাদের মালিক পক্ষের কাছে শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আগামী ১২’তারিখের মধ্যে কারখানার সকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।