খুলনা রূপসা উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত মোঃ আব্দুল রহমান এর পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ. ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজ পর্যন্ত তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাম তালিকায় আসেনি অনেক দৌড়-ঝাপ, কাগজপত্র লেখালেখি করার পরেও কোনো উপায় খুঁজে পাননি।
মোঃ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ. এখন তিনি খুলনা শহরে ঠেলাগাড়ি ঠেলে রুটিরুজি জন্য সারাদিন পরিশ্রম করছেন। আজ বৃস্পতিবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এই প্রতিবেদক কে জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ এদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। এপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হতে পারি নাই। আমার অস্ত্র জমাদানের রশিদ নং- কঐ-১৩৯২ আমি এই পর্যন্ত মুকিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করেও তালিকাভুক্ত হইতে পারি নাই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যুদ্ধা আমি।
বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় ঘোষিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। আজ দেশের জন্য যুদ্ধ করেও খুলনা মহানগরীর ১নং কাস্টম ঘাট এলাকায় প্রতিদিন ঠেলা গাড়ী চালিয়ে আমার জীবন-সংসার চালাচ্ছি। আজ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এত বিপাকে আছি তা আর ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা বলে হাও হাও কেঁদে ফেললেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এই অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধার করুন আহজারি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনিত আবেদন, তিনি যেন এই মুক্তিযোদ্ধার বিষয়টি বিবেচনা করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করে নেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।