বান্দরবানের লামায় শুরু হয়েছে লামা পৌরসভার নির্বাচন। শনিবার (১৬জানুয়ারী) সকাল ৮টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারন ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করে।
প্রার্থীরাও স্ব স্ব কেন্দ্রে নিজের ভোট প্রদান করে। ভোট কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি প্রতিবারের মতই বেশি ছিল।
সাধারন ভোটাররা জানান, সকালে ভোট শুরু হবার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। তারা সবাই সুন্দর ভাবে ভোট দিচ্ছেন। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আগে থেকেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রিটার্নিং অফিসার ও প্রশাসন।
এবারের লামায় মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৩৯টি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসকল ভোটকেন্দ্রে ৯ জন প্রিজাইডিং, ৩৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং এবং ৭৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারে লামা পৌর এলাকার ২৮.৪৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৮৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৩৮৬ জন।
লামা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও লামা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসাইন জানান, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারেস সে জন্য ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য র্যাবের ৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, দুই প্লাটুন বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম, প্রতি কেন্দ্রে অফিসারসহ ৮ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মো. জহিরুল ইসলাম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহীন এবং জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এ.টি.এম শহীদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।