সোহেল মিয়া ৩০বছরের এক যুবক। ঘরে রয়েছে ফুটফুটে ৩টি মেয়ে সন্তান। তার উপার্জনের টাকায় চলে স্ত্রী, সন্তান সহ ৫ সদস্যের সাংসারিক খরচ। নেই ভিটে বাড়ি ও সংসারের বিকল্প আয়ের পথ। এরই মধ্যে বিকল হয়ে গেছে সোহেল মিয়ার ২টি কিডনী ও একই সাথে লিভার রোগেও আক্রান্ত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, বাঁচতে হলে কিডনী দু’টি ও লিভারের জন্য উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে তাকে। নয় তো পৃথিবীর আলো ক্রমান্বয়ে নিভে যাবে সোহেলের জীবন থেকে। তবে সোহেল মিয়া যে বাঁচতে চায়, স্ত্রী সন্তানদের জন্য হলেও পৃথিবীর আলোয় আবারও উদ্ভাসিত হতে চায় এই ভুবনে।
সোহেল মিয়া জানায়, ‘আমি বাঁচতে চাই। আমার ৩টা মেয়ে সন্তান আছে। তার জন্য আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে। কিন্তু গত ১ মাস ধরে আমি কিডনী ও লিভার রোগে আক্রান্ত । একেক দিন আমার কাছে অত্যন্ত কষ্টের। আমার চিকিৎসার জন্য যে ভাবে অর্থের প্রয়োজন ঠিক সে ভাবে সংসারের ভরণ পোষণ নিয়েও হতাশায়। প্রতিবেশীরা আমার স্ত্রী, মেয়েদের খাবার যোগান দিচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, প্রথমে তার লিভারের সমস্য ধরা পরে, এরপর দ’ুটি কিডনী বিকল হয়ে যায়। সে দীর্ঘ দিন চাঁদপুর মেডিল্যাব হসপিটালের চিকিৎসক ডা. উত্তম কুমার রায়ের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। যার ব্যয়ভার বহন করার মতো আর্থিক সক্ষমতা তার নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন।
এতদিন নিজের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা ব্যয়ভার পরিচালনা করা হলেও এখন সোহেলের পরিবারের খরচ চালানো সম্ভব নয়। তাই আপনার, আমার একটু সহযোগিতায় পারে অবুঝ ৩ শিশুর কাছে একজন বাবাকে ফেরত দিতে।
উল্লেখ্য, সোহেল মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হারিসনগর নতুনপাড়া, তার পিতা নুরুল আনোয়ার, মাতা সাজেদা বেগম। সহযোগীতা পাঠানোর ঠিকানা- নুরুল আনোয়ার, বিকাশ এজেন্ট নাম্বার ০১৩০৯২৭৯৯২৫