বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার একটি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে জোরপূর্বক গাছপালা কর্তন করে রাতের আধারে মন্দিরের শিব মুর্তী চুরি জমি দখল করে ঘর নির্মানসহ হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী সন্তষপুর গ্রামের বীরেন্দ্র নাথ মধুর কন্যা রীনা মধু বাদি হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।
ভুক্তভোগী রীনা জানান, আমার পৈত্রিক সুত্রে পাপ্ত সম্পত্তিতে মন্দির নির্মান করে বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে প্রতিবেশি সুশান্ত মজুমদার, শংকর মজুমদার, কল্যান মন্ডল নিত্যানন্দ মজুমদারসহ কতিপয় ব্যক্তি মন্দির থেকে মুর্তী নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে আমার বড় বোনকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। ওই রাতেই ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়।
তবে অদ্যাবদি মুর্তিতো উদ্ধার হয়নি। উপরন্ত এবিষয়ে অভিযোগ করায় ভূমিদশ্য একটি চক্র সুশান্ত মুজুনদার, কল্যান মন্ডল, অনুপ বিশ্বাস ও অপুর্ব মজুমদারের, নেতৃত্বে আমাদের উচ্ছেদ করতে গত বুধ বার মুল্যবান গাছপালা জোর পূর্বক কেটে নিয়ে গেছে। জমি দখল করে গায়ের জোরে নির্মান করেছে ঘর। প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি সহ নানা চক্রান্তে তারা লিপ্ত থাকায় আমরা পির্তৃহীন ৩ বোন নিরাপতœা হিনতায় ভুগছি। চিতলমারি থানা সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালি ভূমি দস্যু একটি চক্র জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বীরেন্দ্রনাথ মধুর পির্তৃহীন ৩ কন্যা কল্পনা, রিনা, ও সুবর্ণাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার নির্জাতনসহ জোরপূর্বক জমি দখল করে নানা ভাবে ভয়ভিতি দেখিয়ে চলেছে। দস্যু মানেনা ধর্মের কাহিনি। রাতের আধারে মন্দিরের মুর্তি চুরি করতেও তারা পিছপা হয়নি। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির সহায়তায় প্রভাব শালি ভূমিদস্যু এ চক্রটির বিরুদ্ধে কেউ মখু খুলতে সাহস পায় না।
অনুপ বিশ্বাস জানান, ১০ বছর আগে আমি জমি ক্রয় করলে বীরেন্দ্র নাথ মধু আদালতে একটি আমানত মামলা করে। যা ২০১৫সালে আমার পক্ষে রায় আসে। আমার জমিতে আমি দোকান ঘর নির্মান করেছি।
বিরেন্দ্র নাথ মধুর কন্যা রিনা জানান, মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছি যা চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে অন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।