ঢাকার নরসিংদির ড্রেজার শ্রমিকদের নিয়ে নৌ পথে একটি ট্রলার নরসিংদি থেকে গলাচিপায় আসা এগার জনকে গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইনের রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর স্বাস্থ্য কর্মীরা এদের কভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসকল শ্রমিকদের খাদ্য, ওষুধ, পানি ও সেনিটাইজারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ড্রেজার শ্রমিক নরসিংদি থেকে নৌ পথে এলাকায় আসার সময় হিজলা পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে হিজলা থানা পুলিশ দশমিনা পুলিশে কাছে এদের হস্তান্তর করলে এর মধ্যে গলাচিপার ১১ জনকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সকালে এদেরকে গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়েছে। সকালে এদের প্রত্যেকের কভিড-১৯ এর নমুন সংগ্রহ হয়েছে। এ ছাড়া এদের থাকা খাওয়ার যেন সমস্য না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে।
গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইনে থাকা গজালিয়ার কামরুল গাজী বলেন, ‘আমারা নরসিংদির হাবিব সাহেবের ‘রাফসান হাবিব ড্রেজার কোম্পানী’তে কাজ করি। ড্রেজিং এর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের মালিক হাবিব সাহেব ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভোলা, দশমিনা, গলাচিপা ও বরগুনার শ্রমিকদের দেশে পাঠিয়ে দেন। আমাদেরকে পুলিশ হিজলা এলাকায় থেকে ধরে নিয়ে আসে। এখন গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজে কোয়ারিন্টাইনে আছি। তবে এখানে আমরা যে ১১ জন আছি কারও মধ্যে কোন ধরণের শারিরীক অসুস্থতা নেই। ডাক্তারেরাও দেখে গেছেন। আপাতত কোন সমস্য হচ্ছে না।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইনে থাকা ১১ শ্রমিকের কভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া তাদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে পর্যবেক্ষণের রেখেছি।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দশমিনা থানা পুলিশ নরসিংদি থেকে নৌ পথে আসা ১১ শ্রমিকে আমাদের কাছে দেয়। আমরা এদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইনে রেখেছি। প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এদের খাদ্য, ওষুধসহ সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।