বাগেরহাটের ফকিরহাটে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় স্থানীয় এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনের দিক নির্দেশনায় টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি ক্ষেত্রে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে প্রশিক্ষিত চাষি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। খরা, বন্যা, জলচ্ছাস, কোল্ডইনজুরিসহ নানা বৈরি আবহাওয়াকে মোকা বেলার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে পৃথক পৃথক গ্রুপ করে চাষিদের প্রশিক্ষন দিয়েছে কৃষি বিভাগ। আর এসকল প্রশিক্ষত চাষিরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে কোন জমিতে আইল থাকবেনা এমন পত্যয় নিয়ে সমালয় জমিতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরোধান চাষ শুরু করেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় চাষি অঞ্জন ব্যানাজী বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে আমন ও বোরো মৌশুমে ধানের চারা উৎপাদন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে শ্রমিক সংকট থাকায় চাষাবাদে খরচ অনেক বেশি। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনের দিক নির্দেশনায় কৃষি বিভাগের পরার্মশে গ্রুপ ভিত্তিক একই স্থানে আমরা ট্রেতে ধান বীজ বপন করে পরিচর্যা করি।
এ পদ্ধতিতে বন্যা, খরা বা অতিরিক্ত শীতে ট্রের বীজ তলা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থান্তর করা সহজ হয়। এমনকি প্রয়োজন মত পানি সেচ ও পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে পরিচর্যা করা যায়। এ উপজেলায় সরকারিভাবে স্থানীয় চাষিদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম হলেও আমরা গ্রুপ ভিত্তিক তা দিয়ে চাষাবাদ করছি। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে একর প্রতি ধান বপন, রোপন ও কর্তনে খরচ বাঁচে প্রায় ১০ হাজার টাকা।
ফকিরহাটের বেতাগা ও বাহিরদিয়া এলাকায় গ্রুপ ভিত্তিক সমালয়ে ৫০ একর জমিতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বেতাগার চাষি আসাদুজ্জামান, ছবুর সরদার, কবির শেখসহ অনেকেই বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সকল জমির আইল তুলে দিয়ে সমালয়ে সংগবদ্ধ ভাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ শুরু করেছি। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে আমাদের খরচ অনেক কম হবে। জমির মালিকানা অনুপাতে উৎপাদিত ফসল সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছরুল মিল্লাত বলেন, এ উপজেলায় চলতি বোরো মৌশুমে ৮হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিতে চাষাবাদের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। এ মৌশুমে ভর্তুকি মূল্যে সরকারি ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা স্থানীয় চাষিদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম হলেও স্থানীয় এমপির দিক নির্দেশনায় গ্রুপ ভিত্তিক ও সমালয়ে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার হচ্ছে।
বাগেরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, রাজতৈতিক প্রতিহিংসা নয় সামাজিক দায় বদ্ধতা থেকে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে তৃণমুলের জনগষ্ঠিকে জনসম্পদে রুপান্তর করতে আমরা সকলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
গ্রামের বেকার জনগষ্ঠিকে কৃষি কাজে উন্নত প্রযুক্তিতে চাষাবাদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। জমির আইল ঠেলা-ঠেলি বন্ধ করতে সমালয়ে সংগবদ্ধভাবে গ্রুপ ভিত্তিক যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে খরন অনেক কম হবে।
তিনি আরো বলেন, চাষিদের উৎপাদিত ফসল জমির মালিকানা অনুপাতে সমান ভাবে ভাগ করে নিবে চাষিরা। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি আসাবাদ ব্যক্ত করেন।