সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনজুরুল আলম এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অত্র কলেজের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ অধ্যক্ষের অপসারণ সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছন্দা পাল এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক মোঃ আক্কাস আলী শিক্ষক কর্মচারদের পক্ষে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় কলেজের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের ৭ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীন অডিটে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। যার প্রতিবেদন ৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পালের নিকট দাখিল করে। পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
যার ফলশ্রুতিতে অনার্স বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষক সহ ৭০ জন শিক্ষক বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা বকেয়া পরে আছে। অনার্স ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ কলেজের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি কলেজের ফান্ড শুন্য করে অনার্স বিভাগের শিক্ষকদের বকেয়া বেতন দিতে গড়িমশি করছেন। তার ফলশ্রুতিতে তার অপসারণ সহ তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুচনা করা হলো।
সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে অভ্যান্তরীন অডিটে যে দূর্নীতির অভিযোক আনা হয়েছে তা আমি পুনঃ তদন্তের জন্য কলেজের সভাপতি বরাবরে আবেদন করেছি। এছাড়া তিনি বলেন অর্নাসের শিক্ষকদের ২-১ মাসের বেতনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া আমি যদি কলেজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকি তাহলে আমি যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিব।