কুড়িগ্রামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আদালত আল হামীম পাবলিক লিমিটেড নামের একটি ভূয়া কোম্পানীর ৩ কর্মকর্তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।
ঐ কর্মকর্তারা রোববার আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
গ্রেফতারকৃত প্রতারকরা হচ্ছে, -মাওলানা আনিছুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম ও মাওলানা আছয়াদুর রহমান আপেল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি কোম্পানীর কর্মী ওমর ফারুক আল হামীমের এই ৩ সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আকর্ষণীয় মূনাফা দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে ভূয়া ঐ কোম্পানীর নামে কর্মকর্তারা গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা আদায় করে।
পরে মেয়াদ শেষে সদস্যদের বিভিন্ন স্কীমের নামে জমাকৃত টাকার লভ্যাংশ না দিয়ে কোম্পানীর কর্মকর্তারা তালবাহানা করতে থাকে। তাদের এমন প্রতারণামূলক আচরণ দেখে সদস্যরা বুঝতে পারে তাদের সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে এ চক্রটি ।
এ অবস্থায় প্রতারণার শিকার উপকার ভোগীগন কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেন। মামলা দায়েরের পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই সাবেক ৩ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে অস্থায়ী জামিন নেন। ২৮ ফেব্রুয়ারী রোববার আসামীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ৩ হাজার গ্রাহকের ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় আল হামীম পাবলিক লিমিটেড এর এমডি এনামুল কবীর কোহিনুর ও তার সহযোগীরা।
এই কোম্পানী কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ৪টি ক্যাটাগরিতে সদস্য সংগ্রহ করে। কাগজপত্রে চক্রটি ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক ব্যবসা পরিচালনার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।