তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি সম্পূর্ণভাবে আমরা শতভাগ আরেজমেন্ট করতে পারবো। ইতিমধ্যে এই হাইটেক সিটির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাজ শেষ। এটি সম্পূর্ণ হলে এখানে লক্ষাধিক মানুষের কর্মস্থানের সুযোগ হবে।
তিনি সোমবার দুপুরে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে অরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, অরিক্স বায়োটেক লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী সাকিল, কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আদনান চৌধুরীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
তিনি আরও বলেন, অরিক্স বায়োটেক লিমিটেড আগামী দুই বছরের মধ্যে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর গুলো শেষ হবে।
তিন বছরের মধ্যে তারা এখানে উৎপাদনে যাবে। আমরা আশা করছি, এখানে দুই হাজার প্রশিক্ষিত সাইন্টিস্ট হাই এন্ড এর হিউম্যানিটিস এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন হবে। এর পাশাপাশি এক হাজার কোটি টাকার যে প্লাজমা বিশ্লেষণের জন্য আমদানি করতে হতো, সেটা আমাদের অরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের সম্পূর্ণ চালু হলে এক হাজার কোটি টাকা আমদানি করতে হবে না। আমরা আশা করছি, এখানেও ২০০০ কর্মস্থানের সুযোগ হবে। এছাড়া ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা আমদানিতে যেতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন ধরণের কৌশল নিয়ে আমরা হাইটেক সিটির কাজ চলছে। প্রথমত হাইটেক পার্ক কিছু জমি নিজেরা ডেপলমেন্ট করছে। ২য় ধাপে সামিট টেকনোপলিস তারা আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের পাটনার হিসেবে তারা জমি ডেপলমেন্ট করছে, অনেক সময় জমি লিজ দিচ্ছে, আবার অনেক সময় সফটওয়্যাার তৈরির করার বিল্ডিংটা ভাড়া দিচ্ছে।
৩য় যেটা আমাদেও ভবিষতের জন্য কিছু অংশ রাখা হয়েছে। যেখানে কোন ফরেন ইনভেষ্টম্যান আসলে তাদের জন্য প্রায় ২৬ একর জমি রাখা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি যাপান, চায়না, সাউথ কোরিয়া এই ধরনের কোন দেশ যদি স্পেশাল জোন চায় সেখানে তাদের দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। পরিবেশের মন্ত্রনালয়ের যে নিদের্শনা, তা মেনে আমার গ্রীণ পার্ক হিসেবে এই হাইটেক পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এখন আমরা বিনিয়োগ আকর্ষণের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।