পূর্ব শত্রুতার যের ধরে রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গভীর নলকূপের অপারেটর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাসানের বিরুদ্ধে কৃষক খাইরুলের প্রায় দেড় বিঘা জমি আলু করার জন্য প্রজেক্টে লিজ দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার তালন্দ ইউপির লালপুরগ্রামে ঘটে রয়েছে ঘটনাটি।
এঘটনায় লালপুরগ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে ইউপি সদস্যকে বিবাদী করে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা কৃষি অফিসার ও বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী বরাবর দিয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে অভিযোগের বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা না গ্রহণ করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষক খাইরুল ইসলাম। ফলে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার লালপুর মৌজার আরএস ৪৪১ দাগে ৫৫ শতক কৃষক খাইরুলের জমি ১১ হাজার ৫৫০ টাকায় প্রজেক্ট কারীকে লীজ দেন ইউপি সদস্য অপারেটর হাসান। কিন্তু অন্য কৃষকদের লীজের টাকা দিলেও খাইরুলকে কোন টাকা দেননি।
অথচ আলু উত্তোলন শুরু হলেও বিভিন্ন তালবাহানা করে টাকা দিচ্ছেনা। কৃষক খাইরুল জানান শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারনে আমার জমি লীজের টাকা দিচ্ছেনা হাসান। বিভিন্ন মারফতে টাকার কথা বলা হলেও উল্টো হুমকি দিয়ে বলছে টাকা তো দেওয়া হবেনা এবং তাঁর জমিতে চাষাবাদের সময় পানিও দেওয়া হবেনা। সে কি করতে পারে দেখা যাবে।
ইউপি সদস্য হাসানের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন টাকা না দিলে আলু চাষ হয়। তাহলে খাইরুল অভিযোগ করল কেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন যত খুশি অভিযোগ করুক আমার কিছুই করতে পারবেনা বলে দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
এনিয়ে বিএমডির প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেছে অভিযোগ করা জানতে চাইলে জানান আজ খোজ নিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে শুধু বিজি বিজি পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতোর সরকারী মোবাইলেও ফোন দেওয়া হলে রিসিভ করেননি।