বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ঝিনাইদহে মশা,মাছির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সকাল সন্ধ্যায় মশার কামড়, মাছির উপদ্রব মানুষের নিত্য জীবনের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। খাল-বিল, ড্রেন গুলোর থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। ফেলে রাখা ময়লা আবর্জনা যেমনি পরিবেশ দূষণ করছে তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে মশা মাছির সংখ্যা। বৈশাখের বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ছে মশা মাছি।
অতিমাত্রায় বংশবৃদ্ধির ফলে ঝিনাইদহ জেলার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ছে। কিছু মশার ঔষধ ছিটালেও তা পর্যাপ্ত নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মশার ঔষধ ছিটানো হচ্ছে, প্রয়োজনে আরো ছিটানো হবে। বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত রাখতে হবে। ফুলের টব, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, এসির পার্শ্বে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
কিছু ছাত্র ছাত্রী দিনের বেলায় মশারী টানিয়ে পড়াশোনা করছে। সকলে সচেতন হয়ে স্ব স্ব আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করলে মশা-মাছির এধরণের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মশারী ব্যাবসায়ীগণ এমতাবস্থায় মশারীর দাম প্রতি পিচে প্রায় ১০০ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি করেছেন।