শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের কাইচকুড়ি গ্রামের বাদল ঢালী (২৫) নামক এক যুবক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি করেছে ভুক্তভোগী যুবকের পরিবার।
ভুক্তভোগী যুবকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের কাইচকুড়ি গ্রামের গণি ঢালীর ছেলে বাদল ঢালী ঢাকায় থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসে বাদল। গত ২৭ এপ্রিল সকালে মাক্স পড়াকে কেন্দ্র করে ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের কাইচকুড়ি গ্রামে গিয়াসউদ্দিন ঢালীর সাথে পার্শ্ববর্তী ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আমীনের ছেলে রাব্বী আমীনের বাকবিতন্ডা হয়। ওই ঘটনায় রাতে চেয়ারম্যান বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাঙচুর হয়।
এতে চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আমীন, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে সহ কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় আলাউদ্দীন আমীন বাদী হয়ে ৩৩ জনকে আসামী করে ডামুড্যা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা ফেরত নিরীহ যুবক বাদল ঢালীকে ৩৩ জনের মধ্যে ২৮ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, কেউ হয়তো ভুল বুঝিয়ে বা ইন্ধন দিয়ে নিরীহ যুবক বাদলকে আসামী করেছে। এ বিষয়ে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও তারা ন্যায় বিচারের জন্য আশপাশের জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। অন্যদিকে, এ ব্যাপারে এলাকার অনেকেই বলেন, আমাদের জানামতে বাদল একজন নিরীহ ও ভদ্র ছেলে। সে ঢাকায় থাকে; কিন্তু করোনার কারণে বাড়িতে এসে লকডাউনে পরে ছিল। এখন মিথ্যা মামলায় পরেছে।
আমরা চাই বাদী সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিরীহ ছেলেটির ব্যাপারে দয়াশীল হোক। মামলা থেকে অব্যাহতি পাক বাদল। এছাড়াও বাদলের পরিবারেরও দাবি বাদল ইফতার শেষে পরিবারের সদস্যদের সাথেই ছিল, বাসায় তারা জামাতে তারাবী নামাজ পরে ছিল। তারা রাতে শুনেছে কে বা কারা যেন সিড্যার চেয়ারম্যানের বাড়ীতে হামলা করেছে। পরে আবার জানতে পারে বাদলের নামে মামলা হয়েছে। এটা তাদের জন্য খুবই দু:সংবাদ। তারা চায় ন্যায় বিচার ও নিরহ বাদল যেন মামলা থেকে অব্যাহতি পায়।