ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হাসাননগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুইটি বেগমের স্বামী মাকসুদ হাওলাদারের নেতৃত্বে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি হাসান নগর ৫নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের নাছিমা (৩০), সুফিয়া বেগম (৫৫) ও ফাতেমা (১৪) আহত হয়। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
আহত নাছিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা হাসান নগর ৫নং ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধে থাকি। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের স্বামী হওয়ার সুবাদে আমাদের ঘরে আসা যাওয়া করেন মাকসুদ হাওলাদার।
মদ ও গাজা সেবন করেন তিনি। আমাদেরকে দীর্ঘ দিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে সে। আমার ১৪ বছরের ছোট বোনকে কয়েকদিন যাবত কু-প্রস্তাব দেয় মাকসুদ হাওলাদার। এতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত ৭ মে রাত ১০টায় মাকসুদ হাওলাদার এসে আমার মাকে বলেন, দরজা খুলেন রিলিপের স্লিপ নিয়ে এসেছি। দরজা খুলতেই আমাদের ঘরে ঢুকে দুই জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার মাকে গলায় চুড়ি ধরে রাখেন। আর মাকসুদ হাওলাদার আমার ১৪ বছরের বোন কে মুখ চেপে ধরে জামা কাপড় খুলার ধর্ষনের চেষ্টা করেন। ওই সময় আমার বোনের ডাকচিৎকারে আমরা গিয়ে তাকে বাধাঁ দিলে তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি।
এরপর ওই দিন রাত ১২টায় ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে আবারো আমাদের ঘরে এসে হামলা করেন মাকসুদ হাওলাদার। আমার ভাই শাহিন দালালদের কাছ হতে ২ লক্ষ টাকা দাদন এনে ওই টাকা ঘরের রাখেন ওই টাকা এবং স্বর্ণ অলংকার সহ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় মাকসুদ হাওলাদার গ্রুপ।
এসময় আমাকে আমার বোন ও মাকে বেদম মারধর করেন। ওনারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়া কেউ ওদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে না। আমরা আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার বাবা মারা গেছে গত ২১ দিন হলো। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। তিনি আরোও জানান, এ ঘটনায় ভোলা কোর্টে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের স্বামী মো. মাকসুদ হাওলাদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওরা ভালো না।