প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় বন্ধ রয়েছে নাটক-সিনেমার শুটিং। তারকা থেকে শুরু করে পরিচালক সবাই যে যার বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এই পরিস্থিতিতেও এবার ঘরে বসে শর্টফিল্ম নির্মাণ করলেন পরিচালক শাহরিয়ার পলক। তাও আবার দুই বাংলার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহ আর কলকাতার টিভিওয়ালা মিডিয়া যৌথ ভাবে করেছে এই কাজটি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ তো বটেই, সেই সাথে অনেক কঠিনও। পরিচালক জানালেন, মোট ৪দিন শুটিং করেছি আমরা। ২দিন মিথিলার সাথে, বাকি ২দিন ভিক্রমের সাথে। যেহেতু দুই জন দুই দেশে, যার যার বাড়িতে, সেহেতু কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো এই নুতন মাধ্যমে [ অনলাইন] কাজ করতে গিয়ে। সবার যথেষ্ট সহযোগিতা না থাকলে এধরনের কাজ করা খুব মুশকিল।’
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছে দীপ্ত। মাসখানেক আগে লন্ডন থেকে কলকাতায় আসে সে। গোটা বিশ্ব যখন ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, তখন হঠাৎ করে সে আবিষ্কার করে তার ১৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা বন্যাকে। বন্যা ঢাকা শহরের সাংবাদিক, ভালো গান গায়। ১৪ বছর আগে মরে যাওয়া প্রেম যেন প্রাণ পায়।
এরপরের গল্পটা তারাই জানেন , যারা ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ইতিমধ্যে ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’ শর্টফিল্মটি দেখেছেন। গত ১২ মে, মঙ্গলবার ধ্রুব টিভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করে এই শর্টফিল্মটি। এত দীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার ভিক্রম এবং বন্যা চরিত্রে বাংলাদেশের মিথিলা।
COVID-১৯ এর বিশ্বব্যাপী মহামারির এই সময়ে, এই গল্পতে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা একজনের অতীতের সম্পর্ককে পুনরুত্থান দেখানো হয়েছে।
ধ্রুব টিভির কর্ণধার সঙ্গীতশিল্পী ধ্রুব গুহ বলেন, বিষয়টি একেবারেই নতুন একটি প্রয়াস। বিশ্ব মাহামারিতে সবাই আমরা ঘরবন্দি। এই দূর্যোগকালীন সময়ে ঘরবন্দি মানুষকে একটু বিনোদন দিতেই এই আয়োজন। পাশাপাশি মানবিক বিষয়ের দিকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তা হল, এই ফিল্ম এর ডিজিটাল রিলিজ থেকে আয়কৃত অর্থ, দুই বাংলার প্রোডাকশনের রুট লেভেলে কাজ করা কর্মীদের কল্যানে ব্যয় করা হবে।