দিনাজপুরের বিরামপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে লকডাউনে থাকা এক ব্যক্তির ১ বিঘা জমির পাঁকা ধান কেটে মাড়ায় করে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে খানসামায় ছাতিয়ানগড় গ্রামের দরিদ্র বিধবা শেফালী রায়ের ৬০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিলো উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.আব্দুর রাজ্জাক রাজ’র নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাসহ ২০ সদস্যের একটি টিম উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর মাঠে ওই ব্যক্তির ধানগুলো কেটে দেয়।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন,ওয়ার্ড ছাত্রলীগ অসহায় ও দরিদ্র কৃষাণীর ধানগুলো কেটে দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আংগারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক লিটন রহমান, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাওফিক আহম্মেদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ ইসলাম,পাকেরহাট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন,ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.আব্দুর রাজ্জাক রাজ বলেন‘ গত ৯ মে বিরামপুর উপজেলার তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়। পরে ১১ মে আরও এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ধরা পড়ে। এরপর থেকে ওই ব্যক্তির বাড়িগুলোসহ আশপাশের বেশ কিছু বাড়িকে লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা প্রশাসন । এ অবস্থায় মাঠের পাকাধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়া ওই ব্যক্তির কথা জানতে পেরে পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। ১ বিঘা জমির পাকা ধান কেটে ও মাড়ায় করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, এই ক্রান্তিকালে অসহায় ওই কৃষানী শ্রমিক সংকট ও আর্থিক অবস্থার কারনে জমির ধান কাটতে না পারায় আমরা স্বেছাশ্রমে ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছি।