বি ইড শুভ পরিচালনায় ও গোলাম সরোয়ার অনিক এর রচনায় আরটিভিতে ঈদের ১ম দিন রাত ৯ টায় একক নাটক ”অবাক প্রেম”। অভিনয়ে: অপূর্ব, মেহজাবিন, আনন্দ খালেদ, আজম খান প্রমুখ।
সংক্ষেপে গল্পঃ নিরব ও জুঁই একই পাড়ার বাসিন্দা। দুজনই এক সাথে চোট থেকে বড় হয়েছে। পারিবারিক ভাবেও দুজনের পরিবারের ভাল সম্পর্ক কিন্তু নিরব ও জুঁইর মাঝে দা-কুমড়ো সম্পর্ক হলেও দুজন দুজনের জন্য অদ্ভুত এক মায়া কাজ কওে কিন্তু কেউ তা প্রকাশ করে না। জুঁইর মাঝে বাচ্চামো ভাবটা এখনো রয়ে গেছে। বড় হলেও এখনো পাড়ার ছেলেদের সাথে রাস্তায় ক্রিকেট খেলে। তার বিপক্ষের টিম সবর্দা নিরব খাকে। প্রায়ই দুজন বাজিতে ক্রিকেট খেলে। নিরবের একটা সমস্যা হলো ও যখন হারতে বসে তখন কোনও একটা অজুহাত দিয়ে খেলা পন্ড করে দেয়।
এ নিয়ে প্রায়ই নিরব ও জুঁয়ের মাঝে দন্দ লেগে থাকে। জুঁই ও নিরবের কমন ফেন্ড হলো রাফসান। জুঁইও নিরবের ঝগড়ার ফলাফল হলো অপরাধ না করা সত্ত্বেও দু‘পক্ষ থেকে রাফসান মার থায়। আবার কোন খেলার পূর্বের দিন দু‘পক্ষই আম্পায়ার রাফসানকে আলাদা আলাদা ডেকে নিয়ে আপ্পায়ন কওে নিজেদের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য তদবির করে। একবার দেখা যাবে নিরবের জ্বর আসলে জুঁই করলার জুস বানিয়ে রাফসানের জন্য নিয়ে যাবে। নিরবের মাকে ভুলভাল বুঝিয়ে জোর করে নিরবকে তিতে সরবত খাওয়াবে। আবার জুঁইর পরীক্ষার সময় নিরব বানোয়াট প্রশ্ন তৈরি কওে নিয়ে বলবে প্রশ্ন ফাস হয়েছে। জুঁই সারারাত পড়তে থাকে। নিরব প্রতিশোধ নিতে চায়। এভাবেই মিষ্টি মধুর ঝগড়ার মধ্যে কাহিনী এগুতে থাকে।
একটা সময় নিরবের মা নিরবের সাথে কথা না বলে জুঁইয়ের মার সাথে কথা বলে নিরব আর জুইয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলবে। অসম্ভব আমি ছেলে হয়ে একজন ছেলেকে বিয়ে করতে পারবো না। মা বলবে, কি ববলছিস এসব? নিরব বলে জুঁইতো ছেলেদের মতোই চলাফেরা করে। এদিকে জুঁইতার মাকে বলে রিক্সাওয়ালকে বিয়ে করলেও নিরবকে বিয়ে করবে না। কিন্তু দুই পক্ষই তাদেও সিন্ধান্তে অটল। নিরব আর জুঁই প্লান করে কিভাবে এই বিয়ে পন্ড করা যায় । নিরব বলে তুই বাসায় গিয়ে বলবি তোর বয়ফেন্ড আছে তুই এই বিয়ে করবি না।
জুঁই বলে অসম্ভব, তুই বলবি তোর গার্লফেন্ড আছে তুই বিয়ে করবি না। কেই কাউকে ছাড় দেয় না। একপযার্য়ে জুই সিদ্ধান্ত নেয় পার্ট টাইম বয়ফেন্ড বানিয়ে মায়ের কাছে নিয়ে যাবে। নিরব জিজ্ঞাসা করে আচ্ছা গার্লফেন্ড ভাড়া পাওয়া যায় না ? অবশেষে দুজন দুজনের বয়ফেন্ড-গার্লফেন্ড খোঁজা শুরু করবে। একেকজনের ইন্টারভিউ নিবে। জ্ুঁইর জন্য নিরব ইন্টারভিউ নিবে এবং নিরবের জন্য জুঁই ইন্টারভিউ নিবে। একটা ছেলে আসলে নিরব জিজ্ঞাসা করে –
নিরব: সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে?
ছেলে: খাই, মাঝে মাঝে।
নিরব: গুড। কোন এক্স গার্লফেন্ড মারার অভিজ্ঞতা আছে?
ছেলে: আছে।
নিরব: ভেরী গুড। এই ছেলেই তোর জন্য পারফেক্ট।
জুঁই: মানে, সিগারেট খায়, গায়ে হাত তুলে এমন ছেলে পারফেক্ট?
নিরব: আরে পুরুষ মানুষের এমন অভ্যাস থাকেই।
এদিকে জুঁই নিরবের জন্য ইন্টারভিউ নিবে
জুঁই: বয়ফ্রেন্ড থেকে কি কি আশা করো?
মেয়ে: ঘরতে নিয়ে যাবে, দামি দামি গিফট দিবে, বড় বড় রেস্ট্যুরেন্টে খাওয়াবে।
জুঁই: এক্স বয়ফেন্ডের জন্য কোনদিন হাত কাটছিলা?
মেয়ে: হ্যাঁ দুইবার কাটছিলাম।
জুঁই: পারফেক্ট। কত ভালবাসা দেখছস ভালবাসার জন্য হাত কাটে এই মেয়েই তোর জন্য পারফেক্ট।
নিরব: কি বলিস তুই ?
জুঁই: হ্যাঁ।
কিছুদিন দুইজন আলাদা আলাদা প্রেম করার পর প্রান অনুযায়ী য়ে যার বাসায় তাদেও বয়ফেন্ড ও গার্লফেন্ডকে প্রেজেন্ট কওে বলবে যে, এই ছেলে/মেয়েকেই বিয়ে করবে।
এদিকে জুঁই আর নিরবের মা বুঝতে পারে তাদের প্ল্যানের কথা। তারাও রাজি হয়ে যায়। তখন নিরব আর জুঁই বিপদে পরে যায়। আর যাই হোক এই ছেলেমেয়েকে বিয়ে করা যাবে না। জুঁই ভাবতে থাকে যতই ঝগড়া করোক এই ছেলে থেকে নিরব ভালো। নিরবও তাই ভাবতে থাকে।
শেষপর্যায়ে একে অপরের বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে তাদেও বিয়ে হয়। বিয়ের দিন জুঁই কবুল বলতে দেরী হলে নিরব রাফসানকে থাপ্পর দিয়ে বলে ওই কবুল বলতে এতো করে কেন। আবার জুঁই রাফসানকে থাপ্পর দিয়ে বলে এতো তাড়াতাড়ি কবুল বলে কেন।
নিরব বাসর ঘরে ঢুকবে, গিয়ে কাশি দিবে। জুঁই তাকালে ইশারা দিবে তার পায় ধরে সালাম করার জন্য। জুঁই বলে এইসব ট্রিপিক্যাল নিয়ম মানি না। সালাম করতে পারবো না।
নিরব বলে: কি অভদ্র মেয়ে বিয়ে করলাম রে বাবা?
জুঁই বলবে: খবরদার অভদ্র বলবি না।
নানা কিছু নিয়ে ওদের ওইসময় ঝগড়া হতে থাকে। দুজনই রাফসানকে ডাকে। রাফসান বুঝতে পারে তার কপালে এখন দুঃখ আছে। সে বিয়ে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালায়।