গাইবান্ধায় নতুন করে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জনের শরীরে ভাইরাসটির সন্ধান মিলেছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ১ জন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। জেলায় আক্রান্ত ৫৫ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২২ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০ জন।
গাইবান্ধায় গতকাল শুক্রবার (২৯ মে) একদিনে ৭ জন করোনা শনাক্তের পর ৩০ মে শনিবার জেলায় নতুন করে আরও ১১ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এখন পর্যন্ত জেলায় এটাই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ১০, ফুলছড়িতে ১, সাঘাটায় ৩, পলাশবাড়ীতে ৫, গোবিন্দগঞ্জে ২৭, সুন্দরগঞ্জে ৩ এবং সাদুল্লাপুর উপজেলায় রয়েছেন ৭ জন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে আক্রান্ত ২ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এ.বি.এম আবু হানিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গাইবান্ধায় গত ১০ মে লকডাউন শিথিল করার পর কয়েকদিন শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও নতুন করে আবারও করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় তিন সপ্তাহ জেলায় করোনার সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে থাকলেও এরআগে গত ১২ মে মঙ্গলবার এবং পরদিন ১৩ মে বুধবার নতুন করে ২ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তাদের একজন চট্টগ্রাম ফেরত শ্রমিক পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। অপরজন গাজিপুর ফেরত পোশাক শ্রমিক ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কাইয়ার হাট গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়। এছাড়া গত শুক্রবার (২২ মে) একদিনেই নতুন করে ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তাদের মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জে ২ জন মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। বাকী ১ জন গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা। এরপর গত শনিবার (২৩ মে) একদিনে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২ জন, গোবিন্দগঞ্জে ১ জন এবং বাকী ১ জন সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা। গত বুধবার (২৭ মে) জেলায় আরও ৪ জন করোনা শনাক্ত হন। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১ জন এবং বাকী ৩ জন সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার জেলায় ৭ জন করোনা শনাক্ত হন। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১ জন এবং বাকী ৬ জন গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা। সবশেষ আজ শনিবার (৩০ মে) জেলায় নতুন করে আরও ১১ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ১ জন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। এ নিয়ে শনিবার (৩০ মে) পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ জনে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সুত্র জানায়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গাইবান্ধায় সেরে উঠেছেন ২২ জন। করোনা জয় করে সুস্থ হওয়া সবাই গাইবান্ধার বিভিন্ন করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরপর দুটি টেস্টে নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাদের আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৫৫ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৩০ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।