রাজশাহীর তানোর উপজেলার প্রানপুর পাঠাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এমনকি রাতের আধারে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন বলে স্থানীয় ব্যাক্তিরা নিশ্চিত। এছাড়াও ঈদের ছুটির সময় রাতের আধারেও কাজ করছেন।
আর কোন ধরনের শিডিউলের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত অনিয়ম ভাবে কাজ করছেন ঠিকাদার কামারগাঁ বাজার এলাকার আফাজ উদ্দিন। গত সোমবার সকালের দিকে কাজ দেখতে যান এলজিইডির কর্মকর্তারা তাদের রশানলে ফেলেন পাঠাকাটা গ্রামের রবিউলসহ বেশ কিছু ব্যাক্তি। কাজের অনিয়মের কথা বললে তাঁরা ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করেন। ফলে একের পর এক কাজের অনিয়ম হলেও এলজিইডির প্রকৌশলীকে তুষ্ট করতে পারলেই বিল ছাড় হয়ে যায়।
জানা গেছে চলতি অর্থ বছরের শেষ মাস জুন। সারা বছর পার হলেও জুনে পড়ে কাজের হিড়িক। যাতা ভাবে কাজ করে বিল তোলা হয়। আর জুন এলেই প্রকৌশলীসহ অন্যদের ভরে পকেট। তানোর টু মুণ্ডুমালা রাস্তার পাঠাকাটা মোড়ে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এবিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণে বরাদ্দ হয় ৬ লাখ টাকা। দরপত্রের মাধ্যেমে কাজটি পাই ঠিকাদার আফাজ উদ্দিন। এতদিন পড়ে থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে কাজ শুরু হয়। পাঠাকাটার স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল জানান রাতের আধারে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই না রাতেও চলছে কাজ। কাজ করার সময় এলজিইডির কোন কর্মকর্তা থাকেনা।
গত সোমবারে তাঁরা তিনজন আসে কাজ দেখতে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় শিডিউল কোথাই, আর রাতে কিভাবে কাজ হয়, একেবারে নিম্মমানের খোয়া ব্যবহার করে ঢালাই দেয়া হয়েছে যা খসে পড়ছে ৪ সুতের রোডের পরিবর্তে ৩ সুত রোড কেন ব্যবহার হচ্ছে এমন নানা ধরনের বিষয় জানতে চাইলে তাঁরা কোন জবাব না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। আমরাও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এই বলে যে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী কাজের স্থানে আসবে তাদের কাছ থেকে কাজের বিষয়ে জানার পর কাজ করতে দেয়া হবে।
সেখানে ছিলেন দুইজন মিস্ত্রি তাঁরা হলেন ইসাহাক ও নজরুল নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে কেন তাঁরা জানান আমরা শ্রমিক মুল মিস্ত্রি আনোয়ার সে এখানে আসেনি। তারাই স্বীকার করেন নিম্মমানের কাজ হচ্ছে। আমাদেরকে যেসব সামগ্রী সে ভাবে কাজ করছি। কয়েকদিন ধরে স্থানিয়রা কাজে বাধা দিয়েছেন আমরাও বসে আছি। মুল মিস্ত্রি আনোয়ার জানান ১৫% কমিশনে কাজ করছি, বেশ কয়েকদিন যাবত আমার শ্রমিকরা বসে আসে তাদের কে টাকা দিবে কে ।
এখানে আমার কিছুই করনীয় নাই ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা যে ভাবে বলছে সে ভাবে কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিক বসে থাকার বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারকে বলা হয়েছে তাঁরা বলেছে বিষয়টি আমরা দেখছি। কত টাকার কাজ তিনি জানান ৬ লাখের সামান্য উপরে । ঠিকাদার আফাজ জানান কাজে একটু নয়ছয় হবেই। না হলে পিচি কমিশন কিভাবে দেয়া হবে। এসব না দিলে তো বিলও পাশ হবেনা। প্রতিটি কাজেই অনিয়ম আছে ।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাক্তিগত ০১৭১৯-১০৬৩২৮ এই মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করে এই প্রতিবেদকের পরিচয় জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতোর সরকারি ০১৭৭৮-৮৮৯৯৯০ এই মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে রিসিভ না করে কেটে দেবার কারনে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।