করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে সোমবার থেকে খুলনায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাসগুলোকে। তবে অতিরিক্ত ৬০ ভাগ ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে যাত্রী সংকট রয়েছে। ফলে অনেক কোম্পানী বাস ছাড়তে পারছে না।
দুরপাল্লার বাস সোহাগ পরিবহন রয়্যালের মোড়ের কাউন্টার স্টাফ সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে ৬০% হারে ভাড়া বৃদ্ধিতে চেয়ার কোচ ও এসি বাস ছাড়া হয়েছে। যাত্রী সংকটে অনেক বাস ছাড়া যায়নি। ৬১৫ টাকার সাথে ৬০% যোগ করে ৯৮০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের ভাড়া আগে ছিল ১২০০ টাকা। তার সাথে ৬০% যোগ করে হয়েছে ভাড়া ১৯২০ টাকা। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে আব্দুল্লাহ নামের ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, করোনার সময় এমনিতেই সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ, অনেকের চাকরি নেই, চাকরি থাকলেও বেতন নেই, এ অবস্থায় এই বাড়তি ভাড়া মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে।
দুরপাল্লার বাস ঈগল পরিবহণ খুলনার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার দারা জানান, সরকারের বেধে দেয়া সকল শর্ত মেনেই গতকাল থেকে বাস ছাড়া শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী সংকটে সারা দিন একটি এসি বাসসহ মোট ১১টি বাস খুলনা থেকে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে সাতটি ঢাকা এবং চারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
রাতে যাত্রী সংকটের কারণে একটি এসি বাস ছাড়া নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে তিনি বলেন। খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা হোসেন সোনা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিটি বাসে ১৮-২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না।
নগরীর রয়্যাল মোড়ে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস ‘টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস’র কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে কিছু বাস ছেড়ে গেছে। তবে অধিকাংশ বাস কাউন্টারেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধকমূলক তেমন কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই কাউন্টার খুলে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। যাত্রার আগে বাসে জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে করার কথা থাকলেও অনেক পরিবহনই তা মানছে না। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোতে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। যাত্রীরাও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।